প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
রাজ্য কৃষিবিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে সুফল বাংলার দু’ধরনের মোট ১৩১টি আউটলেট ছিল। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৫টি। দপ্তরসূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী দিনে উত্তরবঙ্গের গ্রাহকদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য কৃষিবিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, গোটা প্রকল্পটাই আমাদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ভাবনী চিন্তার ফসল। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই তাঁরই স্বপ্নের প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলার মানুষকে বেশি করে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সুফল বাংলা এই লকডাউন পর্বে মানুষের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছনোর সবরকমের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ৯৪টি নতুন আউটলেট খোলা হয়েছে। তাতে আমরা রাজ্যের সমস্ত জেলায় অন্তত একটি আউটলেট করতে পেরেছি।
কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে রাজ্যে সুফল বাংলার মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দরে চাল, ডাল, তেল-মশলা, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাদ্যদ্রব্য, কাঁচা সব্জি আমজনতার কাছে বেশি পরিমাণে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। উন্নতমানের রন্ধনসামগ্রী সরবরাহের উদ্দেশ্যে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ চুক্তিও করে দপ্তর। পাশাপাশি নদীয়ায় ডাল তৈরির কারখানা, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে সব্জির, মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে মাছের জোগান বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু, পর্যাপ্ত আউটলেট না থাকায় সমস্যা ছিল। এরইমধ্যে করোনা আবহে লকডাউন পর্ব শুরু হয়ে যাওয়ায় কাঁচা সব্জি থেকে মশলা, মাছ-মাংস ন্যায্য দামে সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা আরও বৃদ্ধি পায়। এই প্রেক্ষিতেই কৃষিবিপণন দপ্তর সুফল বাংলার আউটলেট বাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। আর তারই ফলশ্রুতি হিসেবে দু’মাসে সুফল বাংলা রাজ্যজুড়ে প্রায় ১০০টির কাছাকাছি আউটলেট বানিয়ে ফেলেছে। যা একদিকে সময়োপযোগী, অন্যদিকে পরিষেবার নিরিখে মাইলস্টোনও। রাজ্য কৃষিবিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দু’ধরনের আউটলেট সুফল বাংলার আছে। এর একটি স্থায়ী, অন্যটি ভ্রাম্যমাণ। সংখ্যাবৃদ্ধির পর এই মুহূর্তে রাজ্যে সুফল বাংলার ৪৭টি স্থায়ী ও ১৭৮টি ভ্রাম্যমাণ আউটলেট হয়ে গেল। রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই দু’ধরনের মধ্যে অন্তত এক ধরনের আউটলেট একটি থাকছেই। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি আউটলেট আছে কলকাতায়, ১১৯টি। এরপরে ৬৬টি আউটলেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তর ২৪পরগনা। বাঁকুড়া, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারের মতো প্রত্যন্ত জেলাতেও অন্তত একটি করে আউটলেট তৈরি করে ফেলেছে সুফল বাংলা।