প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এ রাজ্যে ফেরত শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখের কাছাকাছি হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই অতিরিক্ত কর্মহীনদের ইচ্ছুক সবাইকে ১০০ দিনের কাজে রাস্তা, পুকুর কাটা কিংবা অন্যান্য কাজের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, রয়েছে নিজস্ব জমির অভাব। তাই তাঁদের জন্য নতুন সাত-আটটি স্কিম করেছে সিএডিসি। বাড়ির মধ্যেই ছোট জায়গায় এই কাজগুলো করা সম্ভব।
কী ধরনের এই স্কিমগুলি? প্রতিটি পরিবারকে ১০টি করে কড়কনাথ মুরগি কিংবা পোল্ট্রি মুরগি দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। রয়েছে জল ছাড়া থাকতে পারে, এমন প্রজাতির চারা-চামেলি হাঁসের প্রতিপালন প্রকল্প। ছোট কিচেন গার্ডেন অর্থাৎ শাকসব্জি কিংবা ফলের চাষ। জমি না-থাকলে ভার্টিক্যাল কিচেন গার্ডেন। দেওয়ালের গায়ে বাঁশের কাঠামো তৈরি বা মাচা বানিয়ে লতাজাতীয় যেমন উচ্ছে, ঝিঙে, পটল, লাউ, কুমড়ো, সিমের মতো সব্জি চাষ। মাচা বানিয়ে বিভিন্ন ধাপে সিড বেড বা শস্য বিছানা তৈরি করে ধান, আলু বা অন্যান্য ফসলের চারাগাছ তৈরির ব্যবস্থা। থাকছে হাইড্রোপনিক স্কিম অর্থাৎ পরিত্যক্ত বা পুরনো পাইপে গর্ত করে সব্জি চাষ। বাড়ির যে কোনও জায়গাতেই এই ধরনের চাষ সম্ভব। সিমেন্টের চৌবাচ্চা তৈরি করে কিংবা মাটি কেটে প্লাস্টিকের চৌবাচ্চা বানিয়ে বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারে যেমন সিঙ্গি, মাগুর, কই মাছ চাষের ব্যবস্থা। সার ও পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাজোলা, জৈব সার তৈরির ইউনিট।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর নির্দিষ্ট কোনও সীমা নেই। একটি পরিবার যতগুলি স্কিম নিতে পারবে, তার রোজগার তত বেশি হবে। চাষের উপকরণ, খরচ সরকার দেবে। কাজ চলাকালীন শ্রম দিবস হিসেবে মজুরি পাবেন প্রত্যেকে। উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির সুযোগও দেবে দপ্তর।