পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যে বিষয়গুলি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে পড়ানো হত, সে সবের অনলাইন কন্টেন্ট বানিয়ে প্রত্যেক জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসার (ডিপিও)-কে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার (সিডিপিও), সুপারভাইজার এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলিতে নথিভুক্ত শিশুদের (তিন থেকে ছ’বছরের) মা কিংবা বাবার ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও অভিভাবকের স্মার্ট ফোন না থাকে, তাহলে তাঁর আত্মীয়স্বজন বা প্রতিবেশীকে এটি পাঠাতে হবে। সেভাবেই বাচ্চাদের পড়াতে হবে। রোজ বাচ্চারা দপ্তরের দেওয়া পাঠ্যবিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে কি না, তার ছবি সহ রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক সপ্তাহে নতুন নতুন থিমের উপর ই-কন্টেন্ট পাঠানো হবে।
তবে এটি কার্যকর করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অফিসার এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ইন্টারনেট পরিষেবা। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় তা খুবই দুর্বল। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে, সব কর্মীর কাছে স্মার্টফোন না থাকায় বিষয়বস্তু তাঁদের কাছে পাঠানো যায়নি। আবার বহু দরিদ্র পরিবার আছে, যাদের কাছে সাধারণ ফোন রয়েছে। আশপাশের বাড়িতে স্মার্টফোন থাকলেও সবাই সাহায্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বহু অভিভাবকের মধ্যে সাক্ষরতার হার আবার কম। সেক্ষেত্রে বাড়িতে কী করে তাঁরা পড়াবেন, সে নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠ্যবিষয় পাঠানো হলেও, তা ডাউনলোড করতে পারছেন না বলে অনেকে জানিয়েছেন। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কী করে এই উদ্যোগ সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।