বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কলকাতা এবং শহরতলির ক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়ার মূল দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। তারা জানিয়েছে, ১৫টি রুটে আধঘণ্টা অন্তর পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো ৩০ মিনিট অন্তর, কোনও ক্ষেত্রে ২০-২৫ মিনিট অন্তরও বাস চলেছে। কিন্তু যেহেতু একটি বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না, তাই যাত্রীদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়েছে। যদিও যাত্রীদের বক্তব্য, টার্মিনাস ছাড়াও বাস পেতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন স্টপে। কারণ, বাস যখন আসছে, তখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, তাতে ২০ জন যাত্রী রয়েছেন। সে কারণে ট্রিপের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি তুলেছেন যাত্রীরা।
একাধিক ট্যাক্সি সংগঠন জানিয়েছিল সোমবার থেকে কিছু ট্যাক্সি চলবে। সেই মতো এদিন সকাল থেকে বেশ কিছু ট্যাক্সি চলেছে। মালিকরা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে ট্যাক্সির সংখ্যা বাড়বে। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে বহু চালক বাড়ি চলে গিয়েছেন। তাঁরা ফিরে এলে এই সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে।
তবে এসবের মধ্যেও বেসরকারি বাস মালিকরা নিজেদের অবস্থান বদল করেননি। সোমবারও একাধিক বাস মালিক সংগঠন জানিয়েছে, কম যাত্রী নিয়ে একই ভাড়ায় পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধি হলে পরিষেবা দিতে কোনও সমস্যা নেই। যদিও বেসরকারি বাসের ভাড়া যে কোনওভাবেই বাড়ানো হবে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
সরকারি বাসের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই গ্রিন জোনে পরিষেবা দিচ্ছে এনবিএসটিসি এবং এসবিএসটিসি। নিগম কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনে রুটের সংখ্যা বৃদ্ধির নির্দেশ এলে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে।
ভিআইপি রোডে সরকারি বাসে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র