বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত দুই জেলার ৫২টি কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের কারণে স্নাতকস্তরের পুরনো প্যাটার্নের কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে তৃতীয় বর্ষের পার্ট-৩ পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এছাড়া স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টার পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আগামী জুন মাসে। সেই পরীক্ষা সূচিও বাতিল হয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা না নিয়েও সেমেস্টার পরীক্ষার মার্কশিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মার্কশিট দেওয়া হবে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন উঠলে স্নাতকস্তরের তৃতীয় বর্ষে পার্ট-৩ পরীক্ষা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে নেওয়া হতে পারে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ১৫ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে সেপ্টেম্বর মাসে। পুজোর ছুটিতে খাতা দেখা হবে। ফলাফল প্রকাশিত হবে ছুটির পরই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ৫২টি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সকলেই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সহমত পোষণ করেছেন। হোম পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবর্তে অন্য কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সওয়াল করেছেন সকলে। স্নাতকস্তরের তৃতীয় বর্ষের পার্ট-৩ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড তৈরি। ওই সব পডুয়াদের সিলেবাস সম্পূর্ণ। পড়ুয়াদের স্বার্থেই পরীক্ষা নেওয়াটা জরুরি। সবকটি বিষয়ের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য কিছুক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের নম্বর কমিয়ে আনা হতে পারে। তবে লকডাউন না উঠলে আগামী জুলাই মাসের পরীক্ষা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, পিএইচডি পড়ুয়াদের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বলেই এই সিদ্ধান্ত। তবে পরীক্ষার সূচি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। থিসিস জমা দেওয়ার সময়সীমা ছ’মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্নাতকস্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা বলেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি। ফাইনাল ইয়ারের এই পরীক্ষা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্কশিটে প্রাপ্ত নম্বরে উচ্চস্তরে পড়ার সুযোগ ঘটে। চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়। দ্রুত পরীক্ষা না হলে আমাদের বছর নষ্ট হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও নোটিস দেয়নি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। স্নাতকস্তরের তৃতীয় বর্ষের পার্ট-৩ পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পূর্ণ। অ্যাডমিট কার্ড তৈরি হয়ে আছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।