কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বরাষ্ট্রসচিব আগেই জানিয়েছিলেন, বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা যদি সরকারি কোয়ারেন্টিনে থাকতে চান, সেখানে নিখরচায় ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও কেউ যদি হোটেলে নিজের খরচায় থাকতে চান, সেই বন্দোবস্তও রয়েছে। যেসব হোটেলে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, যাত্রীদের কাছে তার একটি তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগই সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অতনু চট্টোপাধ্যায় নামে বেলেঘাটার এক বাসিন্দা ঢাকা থেকে ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এদিন বলেন, তিনি ঢাকায় একটি বিখ্যাত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ সরকার লকডাউনের মেয়াদ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। যে কারণে সেখানে ব্যবসা সব বন্ধ। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার চেষ্টা করছিলেন। ভারতীয় হাইকমিশনেও যোগাযোগ রেখেছিলেন। অবশেষে সেদেশ থেকে ফিরতে পেরে তাঁর মুখে ছিল স্বস্তির হাসি। তাঁর সঙ্গে এক সহকর্মীও ফিরেছেন।
নিতাইপদ মিত্র নামে আরও এক ঢাকা ফেরত কলকাতার বাসিন্দা বললেন, তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে আটকে পড়েন। পরে সেদেশের সরকারের তরফে তালিকা তৈরি হয়। এক একজনের টিকিটপ্রতি খরচ হয়েছে সাড়ে ন’হাজার টাকা। ঢাকায় আটকে পড়া রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র ও পুত্রবধূও ওই বিমানে ফিরেছেন।
‘বন্দে ভারত মিশন’-এ ইতিমধ্যেই দেশের বহু মানুষ ফিরে এসেছেন। এদিকে, এ রাজ্যে আটকে পড়া ৩৩ জন বাংলাদেশিকে ওই বিমানেই সকালে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার পর এক দফা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে যাত্রীদের। সেখানে পৌঁছনোর পরও আরেক দফা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। লকডাউনের পর যাত্রী নিয়ে এই প্রথম কোনও বিমান কলকাতায় নামল।