বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কন্টেইনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করা হল। এ, বি ও সি। ‘এ’ হচ্ছে অ্যাফেক্টেড জোন, সংক্রমণ সবথেকে বেশি। সেখানে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। আর ‘বি’ জোন হচ্ছে বাফার জোন। তুলনায় কম কড়াকড়ি করা হবে, তবে নজর রাখতে হবে। সেখানে অবশ্য কিছু ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু দোকানপাট খোলার ব্যাপারে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। আর ‘সি’ হচ্ছে ক্লিন জোন। ক্লিন জোনে সবকিছুই খোলা থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। আমরাও তা মেনে চলব। কিন্তু নাইট কার্ফু শব্দটাতে আমার আপত্তি আছে। আমি সকলকে বলব, সন্ধ্যে সাতটার পর বাড়ি থেকে বেরোবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলুন। সামাজিক অনুষ্ঠানে এতদিন সাতজনকে ছাড় দেওয়া হতো। আমরা তা বাড়িয়ে ১৫ করলাম। তবে বাড়িতে বসে ঈদের নামাজ পড়ুন। তিনি বলেন, সকলকে অনুরোধ করব আইন ভাঙবেন না। করোনাকে আমাদের রুখতেই হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২৭ তারিখ থেকে খুলবে হকার্স মার্কেট। মার্কেট খোলার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুর সচিব খলিল আহমেদ, পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র রয়েছেন। এই কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে হকার্স মার্কেট কেমন করে খোলা হবে। তিনি আরও জানান, হকারদের পাস বিলি করা হবে জোড় ও বিজোড় সংখ্যার ভিত্তিতে। একদিন জোড় সংখ্যার হকাররা দোকান খুলবেন, অন্যদিন খুলবে বিজোড় সংখ্যার দোকান। প্রোটোকল মেনেই এবার বাজার খোলা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হোটেল খোলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ হোটেলে সামাজিক দূরত্ব মেনেই কাজ করা হয়। কিন্তু এখন রেস্তরাঁ খোলা যাবে না। অফিস কারখানা খুলবে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে। বেসরকারি অফিস খুলতে পারবে। শপিং মল খোলা যাবে না। তবে খুলতে চলেছে মলের ভেতরে থাকা বেসরকারি অফিস। বিউটি পার্লার, সেলুনও খোলা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে একজনের চুল কাটার পর সেই কাঁচি দিয়ে আরেকজনের চুল কাটার আগে তা ভালো করে স্যানিটাইজ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদেরকে সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পড়বেন। গ্লাভস পড়বেন। স্যানিটাইজার রাখবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকে যেমন রুখতে হবে, তেমনই অর্থনীতিকেও বাঁচাতে হবে। তাই রাজ্যকে সচল করতেই আরও ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।