গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বস্তুত আজ ঘোষিত সিদ্ধান্তে কেন্দ্র বনাম রাজ্য সংঘাতই তীব্র হতে চলেছে। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী আজ হিসেব কষে দেখিয়েছেন, আজ তিনি যে সুরাহার ব্যবস্থা করেছেন, তার জেরে রাজ্যগুলি অতিরিক্ত ৪ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে। আজকের প্যাকেজ ঘোষণায় গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের চাহিদা মেটাতে মোদি সরকার ভরসা রাখছে ইউপিএ আমলে চালু হওয়া ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পে। ওই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনার সঙ্কটে দেশজুড়ে সবথেকে বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে জীবাণুবাহিত রোগের চিকিৎসাকেন্দ্র চিহ্নিত করায়। তাই করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, দেশের প্রতিটি জেলায় (৭৩৩টি জেলা) জীবাণুবাহিত রোগের একটি করে চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকস্তরে নির্মিত হবে একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র। এগুলিতেও আহ্বান করা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থাকে।
আজও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন প্যাকেজ। সেই প্যাকেজ অনুযায়ী কোনও সংস্থা করোনার সময় ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে আগামী এক বছর ঋণখেলাপির তকমা দেওয়া হবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে আজ ঘোষিত প্রকল্পের নাম দীক্ষা। এই প্রকল্পে ডিজিটাল ও অনলাইন ক্লাসে জোর দেওয়া হয়েছে। ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন কোর্স চালু হবে। সরকার চালু করছে প্রধানমন্ত্রী ই বিদ্যা প্রকল্প এবং ওয়ান নেশন ওয়ান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। যা রূপায়িত করতে সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে টাটা স্কাই ও এয়ারটেল ডিটিএইচকে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প সব ক্ষেত্রেই সরকারের প্রধান সহযোগী কর্পোরেট সেক্টর।