কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে মিষ্টি বিক্রেতাদের ভিয়েনও বাদ যায়নি। আর তাই শহরের বিখ্যাত মিষ্টির জাদুগরদের হাতেও থাকছে না নববর্ষ উপলক্ষে কোনও বিশেষ চমক। এমনকী, যাঁরা বড় দোকানগুলিতে বরাত দিয়েছিলেন, তাঁরাও তা বাতিল করেছেন। ফেলু মোদক মিষ্টির দোকানের মালিক অমিতাভ দে জানিয়েছেন, এই দোকানের কিছু বাঁধাধরা ক্রেতা রয়েছেন। প্রতি বছরই তাঁরা নববর্ষের মিষ্টির বরাত দেন। কিন্তু, করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জেরে প্রচুর টাকার বরাত ইতিমধ্যেই বাতিল করে দিয়েছেন গ্রাহকরা। তাঁদের সমস্ত অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। ফলে এবছর বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা প্রকট হয়েছে। তবে অক্ষয় তৃতীয়ায় যদি লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, তাহলে মিষ্টি ব্যবসায় কিছুটা হলেও ‘সুখের দিন’ ফিরবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে তিনি বলেন, লাভ-লোকসান যাই হোক, নববর্ষ জমিয়ে পালন না করলেও চলবে। কারণ, মানুষের সুস্থ থাকাটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি।
রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত শহরের সমস্ত মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে না মিষ্টির দোকানগুলি। কর্মীর ঘাটতি, বিক্রেতার অভাব মিষ্টান্ন শিল্পে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। চিত্তরঞ্জন মিষ্টির দোকানের মালিক নিতাই ঘোষ বলেন, নববর্ষ মানে আমাদের কাছে ‘করোনা’ আর ‘বারোটা থেকে চারটে’। তার বাইরে নববর্ষের চমক বলতে আর কিছুই নেই। আগামী পয়লা বৈশাখে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তাঁর দোকানে যা মিষ্টি থাকবে, সাধারণ মানুষকে তা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন নিতাইবাবু। পরের বছর ছবিটা বদলে ব্যবসার হাল উন্নত হবে, এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন তিনি।