বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চারটি বিভাগে ক্লাসগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হল নার্সারি থেকে চতুর্থ, পঞ্চম থেকে অষ্টম, নবম ও দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী। বাড়িতে বসে করার জন্য যে কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা যে কোনও বয়সের পড়ুয়ারা করতে পারবে। কী কী কাজ দেওয়া হয়েছে? নির্দিষ্ট থিম বেছে নিয়ে বাড়ির মধ্যেই ছবি তুলতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। এর জন্য ১০ নম্বর রয়েছে। তাছাড়া বাড়িতেই মোবাইল ফোনের সাহায্যে ভিডিও তৈরি করতে হবে। যে কোনও বিষয়ের উপর কবিতা, গল্প বা ব্লগ লেখা যেতে পারে। সেটি অনলাইনে আপলোড করতে হবে। করোনার উপর সচেতনতামূলক প্রচারের পোস্টার, ভিডিও ইত্যাদি তৈরি করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়াও রান্না, পশুপাখিদের যত্ন নেওয়া, বয়স্কদের দেখভাল করার মতো কাজও রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট স্কুল এই কাজের উপর তাদের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করবে। কে কত নম্বর পেল, সেই রেকর্ড রাখবে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেলে (schoolconnectmakaut19@gmail.com) এই কাজগুলি পাঠাতে হবে স্কুল ও পড়ুয়াদের। পাঠানোর সময় নিজের নাম, স্কুলের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেল আইডি, ঠিকানা দিতে হবে। পরবর্তী সময় স্কুলগুলির মধ্যে এই কাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা করা হবে। উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, এই লকডাউনের সময়ে ছাত্রছাত্রীদের নানা সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজ্য শিশু কমিশনও এইরকম বাড়িতে বসে নানা ধরনের কাজ করার প্রক্রিয়া চালু করেছে। যেমন, ছবি আঁকা, গল্প লেখা ইত্যাদি। সেই সব কমিশনে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। সেই মতো ভালো সাড়াও মিলেছে বলে তাদের দাবি। অনেকেই ছবি এঁকে পাঠাচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, এর মধ্যে সেরা ছবিগুলি তাদের ‘হুল্লোড়’ ম্যাগাজিনে ছাপানো হবে।