কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোটা রাজ্যে ইপকার বণ্টন ব্যবস্থার প্রধান রাকেশ রাই বলেন, প্রতি মাসে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য কমপক্ষে আমরা ১২ লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট সরবরাহ করে থাকি। ২৪ তারিখ অর্থাৎ লকডাউনের দিন থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত কমবেশি প্রায় ২২ লক্ষ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। যার মধ্যে স্রেফ করোনা আতঙ্কের জেরে বাড়তি অর্ডার এসেছে ১০ লক্ষের বেশি। আবার এপ্রিল মাসের গোড়া থেকে লকডাউন পর্বে প্রায় ৬ লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে আর্থ্রাইটিস বাদ দিয়ে ১৬ লক্ষ ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে স্রেফ করোনার জন্য।
ইপকা সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের আরও ২০ লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের বরাত রয়েছে। বিভিন্ন কর্পোরেট হাসপাতাল, বিভিন্ন সংস্থা মিলিয়ে আরও প্রায় এক কোটি ট্যাবলেটের অর্ডার পড়েছে করোনা প্রতিরোধে কিছুটা কার্যকর বলে নাম করে ফেলা এই ওষুধের জন্য। রাকেশ রাই বলেন, দেশজুড়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বণ্টন ব্যবস্থা মসৃণ রাখতে সবাইকে বুঝেশুনে সরবরাহ করছি। তাও যা অর্ডার হচ্ছে, ভাবা যায় না! হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের আর এক উৎপাদক সংস্থা সান ফার্মার ক্যারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অশোক বুটা বলেন, যেটুকু খবর আছে, সরকারি স্তর থেকে আমাদের কাছে অন্তত ৪৫-৫০ লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহের বরাত রয়েছে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ ওষুধ আমাদের সিলভাসার কারখানা থেকে কীভাবে আনা হবে, তা নিয়েই ভাবছি আমরা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, রাজ্যে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের অভাব নেই। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিভিন্ন নির্মাতা সংস্থাও জানাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি ঘোরালো হলেও, যাতে রাজ্যবাসীর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের অভাব না হয়, সেজন্য প্রচুর পরিমাণ ট্যাবলেটের বরাত দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস আইন অনুযায়ী সদ্য ‘এইচ ১’ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া (প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়া যাবে না গোত্রের ওষুধ) এই ওষুধ সারা দেশে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি সংস্থা তৈরি করে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় সংস্থা ‘বাংলার গর্ব’ বেঙ্গল কেমিক্যাল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি না করলেও, তারা এর ‘বড় ভাই’ (প্রথমে পৃথিবীতে এসেছিল ক্লোরোকুইন, তারপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন) ক্লোরোকুইন ট্যাবলেট তৈরি করতে পারে লক্ষ লক্ষ। পাশাপাশি করোনা রোগীর চিকিৎসায় আরও একটি জরুরি ওষুধ অ্যাজিথ্রোমাইসিনও তৈরি করে ঐতিহ্যবাহী এই সংস্থা। তাদের মার্কেটিং হেড বিপ্লব দাশগুপ্ত বলেন, সমস্যা হল এপিআই বা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট সিঙ্কোনা নিয়ে। কাঁচামালের অভাব এখন বড় সমস্যা। তাও যতটুকু আছে, আমরা ১৫ লক্ষ কুইনাইন তৈরি করতে পারব। অ্যাজিথ্রোমাইসিনও আনুমানিক ২০ লক্ষ ট্যাবলেট বানাতে পারব।