রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আজ, শুক্রবার থেকে রেশন দোকানে কার্ডের পাশাপাশি ফুড কুপনেও খাদ্য দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ফলে দোকানে আরও ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইতিমধ্যে সবাইকে ধৈর্য ধরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে খাদ্য সংগ্রহের অনুরোধ করেছেন। বেশি মানুষ একসঙ্গে রেশন দোকানে ভিড় করলে সমস্যা তৈরি হবে। এপ্রিল মাসের বরাদ্দ এই মাসের মধ্যেই সবাই পাবেন বলে খাদ্যদপ্তর জানিয়েছে।
ফুড কুপনে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এপ্রিল মাসে বিনা পয়সায় মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল ও গম বা আটা পাবেন। আরও কয়েক লক্ষ মানুষ ফুড কুপনে এক কেজি করে চাল ও গম পাবেন— যথাক্রমে ১৩ টাকা ও ৯ টাকা দরে। গ্রামীণ এলাকায় বিডিও ও শহরে পুরসভাগুলির মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে কুপন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খাদ্যদপ্তর ও এফসিআইয়ের গুদামগুলি থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে ডিলারদের কাছে অতিরিক্ত খাদ্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও শুক্রবারের মধ্যে সব রেশন দোকানে কুপন বাবদ অতিরিক্ত খাদ্য নাও পৌঁছাতে পারে। তবে অল ইন্ডিয়া ফেয়ারপ্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বরাদ্দ না এলেও আপাতত মজুত খাদ্য থাকলে তার থেকেই কুপন প্রাপকদের দেওয়ার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তবে কুপনগুলির নম্বর ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্রের মাধ্যমে অনলাইনে খাদ্যদপ্তরের তথ্যভাণ্ডার থেকে যাচাই করে তবেই সামগ্রী দিতে বলা হয়েছে। কারণ রেশন কার্ড পেয়ে গিয়েছেন, এমন অনেকের কাছেও ভুল করে কুপন চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন রেশন কার্ড ডাক বিভাগের মাধ্যমে আবেদনকারীর বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে। ডাক বিভাগ কিছুটা কাজ করায় কোথাও কোথাও নতুন রেশন কার্ড এই সময়ে পৌঁছেও গিয়েছে। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতির জন্য সেই খবর খাদ্যদপ্তরের কাছে না পৌঁছানোয় আবার কুপন ইস্যু করে দেওয়াও হয়েছে।
ভর্তুকিতে খাদ্য পাওয়ার রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেও কার্ড হাতে পাননি, কিন্তু কার্ড অনুমোদন হয়ে গিয়েছে, এমন ব্যক্তিদের জন্য কুপন করা হয়েছে।