কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বড়বাজার এলাকায় বাজার-হাটে এখন সেই কলরব নেই। বন্ধ বাজার। কিন্তু জহুরি পট্টির জুয়াড়িরা বাড়িতে বসেই চালাচ্ছেন চক্র। বড়বাজারে সবচেয়ে বেশি বেটিং চলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলিকে কেন্দ্র করে। জুয়া চলে ফুটবল সহ অন্যান্য খেলার ফলাফল নিয়েও। ভোট এলে তো কথাই নেই। কোন দল জিতবে, কোন প্রার্থী পরবেন জয়ের মালা, তা নিয়ে বাজি ধরতে লক্ষ লক্ষ টাকা সঙ্গে করে মাঠে নেমে পড়ে জুয়াড়িরা। এখন তেমন কোনও ইস্যু না থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছিল তারা। বেটিংয়ের সেই ঝাঁঝ আবার ফিরিয়ে দিয়েছে লকডাউন।
কেমন দর চলছে লকডাউনের? এক জুয়াড়ির কথায়, গত রবিবার পর্যন্ত ১০ টাকায় সাত টাকা দর লেগেছিল এপ্রিল মাস নিয়ে। অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করেছে, তা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে কি না, সেই বাজিতে যারা দশ টাকা লাগিয়েছিল, তাদের সাত টাকা পাওনা হচ্ছিল। কিন্তু এখন সেই ছবি একেবারেই বদলে গিয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত দেশজোড়া লকডাউন চলবে, এই বিষয়ে মোটামুটি স্পষ্ট ধারণা হয়ে গিয়েছে জুয়াড়িদের। তাই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ১০ টাকায় দু’টাকা দর লাগায় জুয়াড়িরা। তাদের কথায় ভবিষ্যতে যে ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি, তাতে বেশি টাকার বাজি ধরে না কেউ। সেই কারণেই রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমূল বদলে গিয়েছে জুয়ার দর। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নিজে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেভাবে ওড়িশা ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে, যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য থেকে কেন্দ্রের উপর এই বিষয়ে চাপ বাড়ানো হচ্ছে, তাতে ওই দু’টাকা দর আরও নীচে নামবে বলেই মনে করছে জুয়াড়িরা।
তাহলে বাজি ধরার খেলা জমছে কীসে? বেটিংয়ের কলাকুশলীরা জানাচ্ছে, নজর তাদের মে মাসের দিকে। ওই মাসের প্রথম সপ্তাহেও কি লকডাউন চলবে? যে মুত্যু মিছিলের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, সেখানে কি আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে লকডাউন? খেলা জমে উঠেছে সেখানেই। জুয়াড়িরা জানাচ্ছে, মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন হবে, এই মর্মে ১০ টাকায় সাত টাকা বাজি ধরা চলছে। ১৫ তারিখ পর্যন্ত তা গড়াবে কি না, সেই বিষয়ে দর আরও এক টাকা চড়ে আট টাকা হয়েছে। ১৫ তারিখের পর কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য এখনই ভাবতে রাজি নয় বেটিংবাজার। তার জন্য এখনও আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর নতুন দরে নতুন খেলায় মাতবে জহুরি পট্টির জুয়াড়িরা।