কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এলাকার কাউন্সিলার দেবাশিস কুমার বললেন, আমার মনে হয়, এই উদ্যোগ গোটা শহরের আমার ওয়ার্ডেই প্রথম। ওঁরা হ্যান্ড মাইকে প্রতিটি এলাকায় এলাকায় ঢুকে যাচ্ছেন। গান করছেন। সচেতন করছেন। এটাই তো সবথেকে বড় উদ্যোগ। নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করে তারপর তাঁরা পুলিসের মতোই মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজের অন্তর্গত জঞ্জাল সাফাই বিভাগের প্রায় ৪০ জন কর্মী এই কাজে নেমেছেন। আশা করা হচ্ছে, এই ওয়ার্ডের পাশাপাশি অন্য ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাই বিভাগ বা অন্য বিভাগের কর্মীরা এই কাজ করবেন। আমি ওই কর্মীদের বলেছি, যতটা এবং যতক্ষণ সম্ভব, এভাবে প্রচার চালিয়ে যেতে।
এছাড়াও দক্ষিণ শহরতলির আরও একটি ওয়ার্ডের চিত্রও শহরবাসীকে উৎসাহ জোগাবে। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী এবং অস্থায়ী সাফাইকর্মীরা পুরসভার দেওয়া টিফিনভাতা জমিয়ে দরিদ্রদের খাবারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ওই ওয়ার্ডে প্রায় ৭০-৮০ জন জঞ্জাল সাফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা টিফিনভাতা বাবদ দিনপিছু ২০ টাকা, পাঁচদিনের মোট ১০০ টাকা সপ্তাহের শুরুতে একেবারে হাতে পান। অর্থাৎ সাত থেকে আট হাজার টাকা গচ্ছিত হয়। সেই টাকা প্রতি সপ্তাহে যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে, ততদিন দিনপিছু ৫০-৬০ জন করে গরিব মানুষকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই সাফাইকর্মীরা। তাঁদের কথায়, লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে ওই গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোকেই আমরা সবথেকে বড় কর্তব্য বলে মনে করেছি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে আমরা পাঁচদিনে ১০০ টাকা পাই। সেই টাকাই আমরা ব্যয় করব ওই গরিব মানুষদের খাওয়ানোর জন্য। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এই কাজ তাঁরা শুরু করবেন। কোথায় এবং কীভাবে খাওয়াবেন, তাও স্থির করে নিয়েছেন তাঁরা। এলাকার কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের কথায়, সাফাইকর্মীরা বিষয়টি জানানোর পরই আমি জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই খাওয়ানো হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে গরিব এই সাফাইকর্মীদের উদ্যোগকে সত্যি কুর্নিশ জানাতেই হবে।