পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিটু, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি, ইউটিইউসি, টিইউসিসি প্রভৃতি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছে, এই ন্যায্য মজুরি না পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের চটকল এবং চা বাগান প্রধান শিল্প ক্ষেত্র হিসেবে অন্যতম ভুক্তভোগী। এই দুই ক্ষেত্রেই মালিকরা কেন্দ্র বা রাজ্যের নির্দেশকে উপেক্ষা করে চলেছে। এর বাইরেও লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু কারখানা বা শিল্পতালুকের ইউনিটগুলির মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা মজুরি মেটাচ্ছে না। বিশদ তথ্য হাতে না থাকলেও মজুরি না দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোন পাচ্ছেন বলে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মজুরি না পাওয়ার ব্যাপারে আমরা সব সংগঠন মিলে শ্রমমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। শ্রমিকরা যদি ন্যায্য পাওনা না পায়, তাহলে অচিরেই তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে বাধ্য। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত দেখা দরকার সরকারের।
শ্রম দপ্তর সূত্রের খবর, বেশ কিছু চটকলে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি না দেওয়ার খবর দপ্তরের কাছেও এসেছে। এই কারণে দপ্তর চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ’র সঙ্গেও যোগাযোগ করে। আইজেএমএ অবশ্য শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সার্কুলার জারি করেছে। তারপরও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি বলে সংগঠনগুলির অভিযোগ। নবান্নে গিয়ে বামফ্রন্ট নেতৃত্বও বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে এনেছে। তারপর শ্রম দপ্তর হাওড়ার ন’টি চটকল মালিককে এব্যাপারে চিঠিও দিয়েছে। শ্রমমন্ত্রীর কথায়, আমাদের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ বা খবর এলে আমরা তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করছি বা করব। সংগঠনগুলি সেভাবে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাচ্ছে না।
এদিকে, ১৪ এপ্রিল প্রাথমিক লকডাউন পর্ব মিটলে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরানোর জন্য বিশেষ ট্রেন পরিষেবার ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি। এই ট্রেন পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়ার পাশাপাশি কর্মহীন এই শ্রমিকদের পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর জন্য মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ারও দাবি তুলেছে তারা। মোদিকে ছাড়াও এব্যাপারে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই চিঠির কপি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছে সংগঠনগুলি।