বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ এর ডিসেম্বরের মধ্যে যে সরকারি কর্মীরা অবসর নিয়েছেন, তাদের বর্ধিত পেনশন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল অফিস (পিএজি)–র অনুমোদন নিতে হবে। অর্থ দপ্তর এ ব্যাপারে আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে। সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে নথিপত্র পাঠানোর পর এজি অফিস তা খতিয়ে দেখে তাঁদের বর্ধিত পেনশন চূড়ান্ত করবে। ওই পেনশন প্রাপকদের গ্র্যাচুইটি, ছুটি বিক্রি, পেনশন কমুটেশন বাবদ অতিরিক্ত টাকা প্রাপ্য হবে। সেটাও এজি অফিসের অনুমোদন নিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া লকডাউনের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লকডাউন চালু হয়ে যাওয়ায় প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পেনশন প্রাপকদের একটি সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লকডাউন উঠে গেলে এই পেনশন প্রাপকদের বর্ধিত পেনশন সহ অন্যান্য বকেয়া যাতে তাড়াতাড়ি মেলে, তার জন্য তাঁরা সরকারকে অনুরোধ করেছেন। বেতন কমিশনের যে সুপারিশ রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে, তাতে সরকারি কর্মীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁদের ওই সময় থেকে কোনও বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে অবসর নেওয়া কর্মীদের তৎকালীন বর্ধিত বেতনের হিসেব করে নতুন পেনশন ও অতিরিক্ত গ্র্যাচুইটি প্রভৃতি ধার্য হবে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, পেনশন প্রাপকরা লকডাউনের মধ্যে কাজ করতে না পারলেও, বাড়ির কাজের লোকেদের মাইনে যাতে মিটিয়ে দেন, তার জন্য পেনশন প্রাপকদের অন্য একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর মজুমদার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, বেশিরভাগ পেনশন প্রাপক বর্ধিত পেনশন পেয়ে গেছেন। এই অবস্থায় সবারই উচিত গরিব মানুষদের একটু দেখা।