বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পড়াচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। প্রতিষ্ঠানের এমন উদ্যোগে খুশি পড়ুয়া এবং অভিভাবকরাও। ক্লাসরুমে পঠনপাঠন এভাবে টানা বন্ধ থাকলে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে। তাই বসে না থেকে এভাবেই পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকশিক্ষিকারা। প্রযুক্তির সাহায্যে এভাবে পঠনপাঠন পরিচালনার পর পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের তরফে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধানরা।
তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবন হাওড়া শহরের অন্যতম বড় ও নামকরা স্কুল। এখানকার প্রধান শিক্ষিকা সুস্মিতা রায়। তিনি জানান, রবিবার থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। প্রথমে নবম ও দশম শ্রেণীর ক্লাস করানো হচ্ছে। আর মঙ্গলবার থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সব বিষয়ের ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। কী পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তির সাহায্যে? প্রধান শিক্ষিকা জানান, আমরা আমাদের স্কুলের ওয়েবসাইটে একটি ইউটিউব টিউটোরিয়ালের লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ানোর ভিডিওটি করে সরাসরি যাতে ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ‘আপলোড’ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা আছে। তিনি আরও জানান, আমাদের ওয়েবসাইটে কোনও পাসওয়ার্ড নেই। আমাদের ছাত্রীরা ছাড়াও যে কেউ এখান থেকে পাঠ নিতে পারবেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ ছাত্রী এই বিদ্যালয়ের সুবিধা পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
হাওড়ার যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের শিক্ষিকারা তাঁদের পড়ানোকে অডিও ফাইলে বন্দি করছেন। তারপর তা দিয়ে দিচ্ছেন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের অভিভাবকদের ফোন নম্বর স্কুলের সংগ্রহে আগে থেকেই ছিল। তা কাজে লাগিয়ে সবাইকে একটি গ্রুপের মধ্যে এনে পঠনপাঠন চালু রেখেছে হাওড়ার এই স্কুল। এক-একজন ক্লাস টিচারকে এক-একটি ক্লাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলের শুরু থেকে এই বিদ্যালয়ে এভাবে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। হাজারখানেক ছাত্রী এভাবে উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ডঃ শুভ্রা চক্রবর্তী। হাওড়া শহরের আরও কয়েকটি স্কুল এভাবে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সুস্মিতাদেবী, শুভ্রাদেবীরা বলেন, এই পদ্ধতিতে পঠনপাঠনে ছাত্রীদের উৎসাহ বেশ ভালোই। সব ক্ষেত্রে কোথাও না বুঝতে পারলে যেন পড়ুয়ারা প্রশ্ন করতে পারেন, সেই সুযোগও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে স্কুলের মতো কোনও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নয়, নিজেদের সুবিধামতো সময়ে পড়াশুনো করতে পারছে ছাত্রছাত্রীরা।