কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্যের সরকার বা শাসক তৃণমূলের তরফে এদিন এনিয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক এই ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে একান্তে জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, করোনা পরিস্থিতির সার্বিক মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে এই খাতে যদি সব দল মিলে টাকা দেয়, তাহলে মোটেও আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। বাম আমলের নেওয়া ঋণের ভারে এমনিতেই রাজ্য জর্জরিত। সুদ-আসল গুনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তার উপর করোনার কারণে গোটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ও প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। কঠিন এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রাপ্য অর্থের একাংশ কয়েক মাসের জন্য কাটলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে বলে মনে হয় না।
বিরোধীরাও এই ধরনের কোনও পদক্ষেপে আপত্তি জানানোর পক্ষে নয়। তবে সেই সঙ্গে তাদের অন্য কিছু বক্তব্যও রয়েছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি’র বিধায়ক-নেতা মনোজ টিগ্গারা প্রায় একসুরেই বলেছেন, এই ধরনের অবস্থায় পথ দেখাতে হলে সর্বাগ্রে তা আমাদেরই দেখাতে হবে। তবে এনিয়ে সরকার বা বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে আলোচনা করা উচিত। সর্বদলীয় বৈঠকে সকলের এই অঙ্গীকারও করা উচিত যে, এই পরিস্থিতিতে অন্তত আগামী দু’বছর খেলা-মেলা-প্রশাসনিক বৈঠকের খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয়ও বন্ধ রাখতে হবে। খরচ কমানোর নামে বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির ক্ষেত্রে রাশ টানার নিদান দিয়েছে সরকার। তার আগে অনেক জরুরি এই সব ফালতু খাতে অপচয় বন্ধ করা।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, প্রস্তাব ভালো। তবে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে যথাসাধ্য করছে। এই অবস্থায় মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত আমি বা বিধানসভার সচিবালয় নিতে পারি না। এটা সরকারকেই ঠিক করতে হবে। বড়জোর সব দলকে নিয়ে আমি আলোচনা করে একটা প্রস্তাব নিতে পারি।