কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাইস মিল মালিকদের সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালিক জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে ৬০০-র বেশি মিল খুলে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। রাজ্যে রাইস মিলের সংখ্যা প্রায় ১৪০০ হলেও অনেকগুলি আগে থেকেই নানা কারণে বন্ধ আছে। প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের মনে আস্থা জোগাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরকার বিনা পয়সায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করেছে।
সরকারের সামনে আর একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল চাষিদের কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণে ধান কেনা। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর চাষিরা আর ধান নিয়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ক্রয় কেন্দ্র কার্যত বন্ধ হয়ে আছে। সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার পরিমাণ চলতি খরিফ মরশুমে এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টনের আশপাশে রয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে সরকারি উদ্যোগে আরও ধান কেনার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। রেশনের মাধ্যমে অনেক বেশি মানুষকে চাল দেওয়া হচ্ছে এখন। রেশন কার্ড নেই এমন গরিব মানুষকে চাল বিলি করা হবে। তার জন্য খাদ্য দপ্তরকে মজুত ভাণ্ডার থেকে চাল পাঠাতে হচ্ছে। রাজ্যের কাছে যে পরিমাণ ধান আছে, তা দিয়ে ২১ লক্ষ টন চাল উৎপাদন হতে পারে। এক বছরের জন্য রেশন সহ কয়েকটি প্রকল্প চালাতে ২৬-২৭ লক্ষ টন চাল প্রয়োজন হয়। এবার আরও বেশি পরিমাণ চাল লাগবে সেটা কর্তারা ভালোরকম বুঝতে পারছেন। খাদ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, লকডাউন উঠে গেলেই ধান সংগ্রহে জোরকদমে নামতে হবে।
কিছুদিনের মধ্যেই বোরো ধান উঠতে শুরু করবে। খাদ্য দপ্তরের আশা, বোরো ধান ওঠার পর চাষিরা ফের ধান নিয়ে সরকারের কাছে বিক্রি করতে আসবেন। বহু চাষি আমন চাষে উৎপাদিত মোটা ধান ঘরে ধরে রেখেছেন পরে বিক্রির জন্য। ৪০ লক্ষ টনের বেশি ধান এবার সরকারকে সংগ্রহ করতেই হবে এটা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন। গত দুই দফায় খরিফ মরশুমে সরকারি উদ্যোগে রাজ্যে ৪০ লক্ষ টনের থেকে কিছুটা কম ধান সংগ্রহ হয়েছিল। গত কয়েক বছর চালের যা চাহিদা ছিল, তা ওই পরিমাণ ধান দিয়ে মেটাতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবার ৪০ লক্ষ টনের বেশি ধান প্রয়োজন হবে। সরকারের যে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আছে, তা এবার পূরণ করতে পারলে সব থেকে ভালো হবে।
রাইস মিল মালিকদের বক্তব্য, খোলাবাজারেও চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। মোটা ধানের চাল রাইস মিল থেকে খোলা বাজারের জন্য ২৫ টাকা কেজি দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। মিলে সরু চালের দাম ৩৮-৩৯ টাকার আশপাশে আছে।