পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির বেশ কয়েকটি বিভাগ অনলাইনে ক্লাস নিতে শুরু করেছিল। তার মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, ইতিহাস, ইংরেজি বিভাগ। অর্থনীতি বিভাগ আবার অনলাইনে মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু সর্বত্র পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাচ্ছেন না বলে ছাত্র সংসদের তরফে অভিযোগ করা হয়। তার ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করা যাবে না, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বিভাগগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাই এখন বহু বিভাগই ডিজিটাল কন্টেন্ট দেওয়ার উপরই বেশি জোর দিচ্ছে। ই-মেল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা পড়ুয়াদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। অধ্যাপকদের মতে, এতে অন্তত ছাত্রছাত্রীরা বিষয়বস্তু নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও স্টাডি মেটিরিয়ালের উপর জোর দিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে বিষয় পিছু লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। তার থেকেই প্রয়োজনীয় নোট পাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। অনেক বিভাগ প্রথমদিকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছিল ঠিকই। প্রত্যন্ত এলাকায় পরিকাঠামোগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পড়ুয়ারা। তাই সবাই সেই ক্লাস করতে পারছেন না বলেই খবর। সেকারণে এখন নোট দেওয়ার উপরই বাড়তি জোর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যেমন গ্রুপ মেল তৈরি করে স্টাডি মেটিরিয়াল দেওয়া হচ্ছে। কারও কিছু প্রশ্ন থাকলে বা নির্দিষ্ট বিষয় বুঝতে না পারলে, তার জন্য স্কাইপ বা ভিডিও কল করে তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু কলেজও এই পদ্ধতি নিয়েছে। যেমন জয়পুরিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে নানা বিষয়ের লিঙ্ক দিয়েছে। সেখান থেকেই স্টাডি মেটিরিয়াল পেয়ে যাবেন ছাত্রছাত্রীরা।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কণ্ঠসঙ্গীত, নৃত্য, বাংলার মতো কয়েকটি বিভাগের অধ্যাপকরা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ সর্বত্র না মেলায় অনেকেই আবার নোট দেওয়ার পন্থায় ফিরে গিয়েছেন। অধ্যাপকদের একাংশের মতে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ গরিব ঘর থেকে আসে। তাঁদের বাড়িও অনেক দূরে। ফলে সেই সব জায়গায় নেট সংযোগ ভালো নয়। তাই অনলাইন ক্লাসে যদি মাত্র ২০-২৫ শতাংশ পড়ুয়ার সুবিধা হয়, তাহলে লাভ হবে না। অগত্যা ওয়েবসাইটে বা ই-মেলে নোট দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।