পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অল্পদিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন ভাস্কর ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ মতো তিনি কলকাতা হাইকোর্টে গতানুগতিক পদ্ধতির বদলে ‘ই-ফাইলিং’ মারফত মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। মূলত কিছু বর্ষীয়ান আইনজীবীদের দিক থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করা হয়। সেই বিরোধিতায় শামিল হয়েছিল বার অ্যাসোসিয়েশনও। ফলে সেই প্রচেষ্টা সেখানেই ধামাচাপা পড়ে যায়। ফলে শতাব্দী-প্রাচীন ব্যবস্থার মতোই আজও এখানে মামলা দায়ের হয়। তার জন্য লাইন দেওয়া, চেঁচামেচি, হই-হট্টগোল সবই আগের মতো চলছে। অন্যদিকে, সেই একই সময়ে দেশের অন্য হাইকোর্টগুলি সহ সুপ্রিম কোর্টে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। ধাপে ধাপে সেই ব্যবস্থা সেখানে উন্নত হয়েছে। যার সুবিধা সেখানকার মামলাকারী থেকে আইনজীবী, সকলেই পাচ্ছেন।
লকডাউন পর্বে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, অত্যন্ত জরুরি মামলা ‘স্কাইপ কনফারেন্সিং’ তথা ভিডিও-কনফারেন্সিং মারফত শোনা হবে। মামলার নথি স্ক্যান করে ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পদ্ধতি অনুসরণ করে মামলা নথিভুক্ত করতে হবে। আবেদনের কারণ ও তার বিষয়বস্তু এবং আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে এবং গ্রহণযোগ্য মনে করলে আদালত তা শুনবে। কিন্তু, সেইমতো শুনানি হওয়া মামলার সংখ্যা এখনও পর্যন্ত নগণ্য। স্রেফ এমন পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকা, পরিকাঠামোগত অভাব অথবা এই ব্যাপারে অস্বস্তির কারণে শুনানির সংখ্যা এখানে বাড়ছে না। ফলে মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার এখানে ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে।
এমন এক প্রেক্ষাপটে রাজ্যের প্রায় ৪৫ হাজার নিয়মিতভাবে কাজ করা আইনজীবীদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ চরম সঙ্কটে পড়তে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে এমন আইনজীবীদের ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়ার জন্য রাজ্য বার কাউন্সিলের কাছে দাবিও করা হয়েছে। অন্যদিকে, এও জানা গিয়েছে, ১৯৬১ সাল থেকে রাজ্যের কোনও সরকারই কাউন্সিলকে আর্থিক সাহায্য দেয়নি। বর্তমান অবস্থায় দেশের বেশকিছু রাজ্য সরকার আইনজীবীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেও এখানে তা হয়নি। আবার ‘অ্যাডভোকেটস ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ শিরোনামে মামলা নথিভুক্তির সময় যে স্ট্যাম্প লাগানো হয়, সেই খাতে রাজ্য সরকারের কাছে যে অর্থ জমা হয়, তা কেন এই অবস্থায় দুঃস্থ আইনজীবীদের জন্য ব্যয় করা হবে না, এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।