নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং তার জেরে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলছে। এই অবস্থায় মৃতপ্রায় অর্থনীতিকে কী করে চাঙ্গা করা যায়, তার দিশা দেখাতে আগাম উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গড়লেন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা ডঃ স্বরূপ সরকারকে ওই কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী ও ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁদের সহায়তা করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কৃতী বাঙালিদের আগামীদিনে এই কমিটিতে নেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। লকডাউনের জেরে রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সেই পরিস্থিতির উন্নয়নে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে এই কমিটি মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেবে। বস্তুত করোনা পরিস্থিতির জেরে গোটা বিশ্বে এখন অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাজারে পণ্যের চাহিদা নেই। উৎপাদন বন্ধ। খুব শিগগিরি অবস্থা ফেরার দিশাও দেখাতে পারছেন না বিশেষজ্ঞ। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে ব্যাখ্যা করছে ওয়াকিবহাল মহল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে নোটবন্দি, এখন ঘরবন্দি। ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। ব্যবসা নেই। দোকান বন্ধ। রাজ্যের কোনও আয় নেই। আরও কঠিন অবস্থায় পড়তে হতে পারে। এই অবস্থায় অর্থনীতিকে কী করে সচল রাখা যায়, সেই মতামত নেওয়া হবে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করেন গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি। ভবিষ্যতের দিশা তৈরি করতে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম এই বোর্ড তৈরি করল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চা-বাগান খোলার জন্য শনিবার রাতে নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা চালু করতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, কালিম্পংয়ে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, সে কারণে চা-বাগানের শ্রমিকরা আতঙ্কে আছেন। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা খুলতে রাজি নয়। তাই আমরা এখনই চা-বাগান খোলার পক্ষপাতী নই।