গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এই হোম টাস্কে বেশ কিছুটা অভিনবত্ব রয়েছে। ধরা যাক, অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাসের টাস্ক। সেখানে একটি শব্দছক করতে দেওয়া হয়েছে। তাতে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বিষয়টি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে দেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হচ্ছে, সেখানে ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে শিক্ষা এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস উঠে এসেছে। শব্দছকটি করতে গেলে জানতে হবে বেনারস সংস্কৃত কলেজ, হিন্দু কলেজ, কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার নাম এবং অন্যান্য তথ্যাবলী। আবার ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থার নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। সেটি হল ফাদার উইলিয়াম কেরি, ফাদার উইলিয়াম ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত শ্রীরামপুর মিশন প্রেস। খ্রিষ্টীয় মিশনারিদের প্রতিষ্ঠিত এই প্রেসটি শুধু বাংলার মুদ্রণ শিল্পেই নয়, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রসারেও অনন্য ভূমিকা রেখেছিল।
গণিতে মোটামুটি পাঁচটি প্রশ্ন, বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে গড়ে আট থেকে দশটি প্রশ্ন রয়েছে। পরিবেশ এবং বিজ্ঞানেও রোগ, কোষের গঠন ইত্যাদি প্রশ্ন রাখা হয়েছে। মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কে না থাকলেও কোভিভ-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি, রোগ ছড়িয়ে অতিমারির সৃষ্টি হওয়া এবং তার প্রভাব নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রবন্ধ রচনার পরামর্শ দিচ্ছেন গৃহশিক্ষকরা। বার্ষিক পরীক্ষা বা মাধ্যমিকে এই প্রশ্ন ‘কমন’ পড়ে যাবে বলে আশা করছেন অভিভাবকরাও। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনেরর রাজ্য কমিটির নেতা তথা কোচবিহার জেলার সভাপতি অমিতাভ করের কথায়, আমার বিষয় ইংরেজি। প্যারাগ্রাফ বা এসে হিসেবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্বলন্ত ইস্যু হিসেবে এটা লেখার অভ্যাস করতে পরামর্শ দিচ্ছি ছাত্রছাত্রীদের। লকডাউনের জেরে গৃহশিক্ষকরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান অমিতাভবাবু। তিনি বলেন, অনেক অভিভাবকের জীবিকা এই লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা গৃহশিক্ষকদের বেতন দিতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ আর্থিক সঙ্গতি থাকলেও এই অজুহাতে বেতন দিচ্ছেন না। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। অন্তত কয়েক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া গেলে গৃহশিক্ষকদের পরিবারগুলি বেঁচে যাবে। আমরা সংগঠনগত ভাবেও চাঁদা তুলছি। প্রতিটি জেলায় তা সমপরিমাণে বণ্টন করা হবে। রাজ্যে অন্তত পাঁচ লক্ষ গৃহশিক্ষক আছেন বলে জানান অমিতাভবাবু।