কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সংগঠনের ৪৫ থেকে ৫০ টি বাস স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বাসগুলি বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে প্রশাসন। এইসব হাসপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে শহরের এনআরএস এবং বেলেঘাটা আইডি। এছাড়া চন্দননগর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, বাঁকুড়া, বেলদার হাসপাতালেও স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের জন্য বাস দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যেহেতু বাসগুলি বিভিন্ন হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছে, তাই কর্মীরা অনেক বেশি সচেতন হয়ে কাজ করছেন। অধিকাংশ কর্মী রাতে বাড়ি ফিরছেন না। তারা রাত কাটাচ্ছেন বাসে। নিজেদের মধ্যে যদি কোনো কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকে সেই সংক্রমণ থেকে পরিবারকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ। তবে কর্মীরা মাস্ক পড়ছেন। গ্লাভস পড়ছেন। একাধিক জায়গাতেই কর্মীদের খাবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে। কোন কোন জায়গায় আবার কর্মীরা শুকনো খাবার খেয়ে কাটাচ্ছেন বা নিজেরা রান্না করছেন। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি পরিষেবায় বেশ কিছু বাস চলাচল করছে। ইদানিং একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাস কর্মীরা অনেকেই রাতে বাড়ি ফিরছেন না। বদলে তারা বাসেতে রাত কাটাচ্ছেন পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ন বোস বলেন, আমাদের সংগঠনের মোট ২২টি বাস বিভিন্ন হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। ২২টি বাসের মধ্যে পাঁচটি মিনিবাস এবং বাকি গুলি বড়। বাসগুলি আরজিকর, বেলেঘাটা আইডি, কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, চিত্তরঞ্জন সহ বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করছে। একটি বাসে দুই থেকে তিনজন করে কর্মী থাকছেন। তাঁরা গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। রাতে কিছু বাস থাকছে হাসপাতলে আবার কিছু বাস থাকছে বাসস্ট্যান্ডে। অনেক কর্মী রাতে বাসেই থাকছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বেলেঘাটা আইডিতে আমাদের চারটি বাস কাজ করছে। সেসব বাসের কর্মীরা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গেই খাবার খাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মীদের খাবার জন্য দিনপিছু ১৯০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন, পশ্চিমবঙ্গ-এর সাধারণ সম্পাদক সৈকত পাল বলেন, আমাদের সংগঠনের বহু সদস্যের গাড়ি অ্যাপ নির্ভর লাক্সারি ট্যাক্সি সংস্থায় পরিষেবা দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতেও জরুরি প্রয়োজনে বেশ কিছু গাড়ি চলাচল করছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। চালকদের জন্য মালিকরাই স্যানিটাইজার, মাস্ক ইত্যাদি দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাইছি। বাড়ি ফেরার পর কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা নিয়েও চালকদের সচেতন করা হয়েছে। মূলত বাইরে থেকে এসে জামা-কাপড় সাবান দিয়ে ধোয়া, চালকদের সাবান এবং গরম জল দিয়ে স্নান করার কথা বলা হয়েছে।