বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনার আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করতেই গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ধাপে ধাপে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান। আপাতত আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সেগুলি। এই সময়কালে এই প্রতিষ্ঠানের কর্তারা যে আর্থিক ক্ষতির আনুমানিক হিসেব করেছেন, তাতে মাথায় হাত তাঁদের। এই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটা মোটা অনুদান পায় ঠিকই। তার বাইরেও আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা প্রবেশমূল্য থেকে আসে। কিন্তু এক মাস তা বন্ধ থাকায়, সেই লোকসানের বহর কমবে কী করে, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা।
আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময়টায় দিনে গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক আসে। প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে বাচ্চাদের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। সেই হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে, এক মাসে প্রায় ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা লোকসান হবে। অন্যদিকে, সায়েন্স সিটির ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ আরও বেশি। তাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গড়ে পাঁচ হাজার লোক হয় এই সময়ে। প্রবেশ মূল্য ৬০ টাকা। ফলে ৩০দিনের হিসেবে লোকসান ৯০ লক্ষ টাকা। এর বাইরে বিভিন্ন শো, রাইড ইত্যাদির আলাদা প্রবেশ মূল্য রয়েছে। সেক্ষেত্রে, এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে। সব মিলিয়ে অন্তত এক কোটির মতো ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একই আশঙ্কা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষের। তারা অবশ্য এখনই কোনও হিসেব করেনি। কারণ, তাদের প্রবেশমূল্যের নানা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ধারণা হল, আর্থিক লোকসানের নিরিখে সবাইকে ছাপিয়ে যেতে পারে তারা। মিউজিয়ামগুলির মধ্যে, সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যার নিরিখে দেশে শীর্ষে ভিক্টোরিয়া। কর্তৃপক্ষের দাবি, ৮ থেকে ১০ হাজারের মতো লোক রোজই আসেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রবেশ মূল্য আছে। বাগানের জন্য ভারতীয়দের ২০ টাকা, মিউজিয়ামের জন্য ৩০ টাকা, বিদেশিদের জন্য রয়েছে আবার দু’রকম মূল্য। ফলে সব কিছু বিচার করলে, এখানেও কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে লোকসানের পরিমাণ। অন্যদিকে, ভারতীয় জাদুঘরও রেহাই পাবে না এই আর্থিক ক্ষতির থেকে। তাদের প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ৫০ টাকা এবং বিদেশিদের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা। সেক্ষেত্রে তাদেরও এই সময়কালে গড়ে পাঁচ-ছ’হাজার দর্শক হয়েই থাকে। ফলে জাদুঘর কমপক্ষে ৭০-৭৫ লক্ষ টাকা আয় হারানোর আশঙ্কা করছে।