কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
চার পেয়ে হলেও, তারা কিপ্রাণী নয়? তাদের জীবন কি দেশের সংবিধান অনুযায়ী সুরক্ষিত নয়? রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে যাঁদের দরদ উথলে উঠছে, সেই পুলিসই কোন যুক্তিতে তাঁকে বিড়ালের খাবার কিনতে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে? এমনই সব প্রশ্ন তুলেছেন এর্নাকুলাম শহরের মারাডু এলাকার আইনি নাডা রোডে অবস্থিত প্রাজিত বিহার আবাসনের বাসিন্দা প্রকাশ।
তাঁর পোষ্য তিন বিড়াল ‘মিও-পারসিয়ান’ নামে এক বহুজাতিক সংস্থার তৈরি বিস্কুট খায়। তিনি ও তাঁর পরিবার নিরামিষাশী। সেই কারণে তাঁর বাড়িতে কোনও আমিষ খাবার ঢোকে না। সেই সূত্রে তাঁর বিড়ালরাও নিরামিষাশী। মিও-পারসিয়ান-এর সাত কিলোগ্রামের একটি প্যাকেট কিনলে বিড়ালগুলি তিন সপ্তাহ ধরে তা খায়। এতদিন তিনি এরোর শহরের ফেলিকান হাসপাতাল থেকে ওই প্যাকেট কিনতেন। এদিকে লকডাউনের জেরে ওই হাসপাতালে খাবারটির মজুত ফুরিয়েছে। প্রকাশ অনলাইনে খোঁজ করে জানতে পারেন, কাদাভানথারার কোচিন পেট হাসপাতালে ওই খাবার রয়েছে।
মামলায় তিনি আদালতকে জানান, রাজ্যের পুলিস প্রধান বলেছিলেন, কোনও জরুরি কারণে কেউ বাইরে বেরতে চাইলে https:/pass.bsafe.kerala.gov.in/ ঠিকানায় অনলাইনে হলফনামা জমা করে কারণ দর্শাতে হবে। সেই সূত্রে ৩ এপ্রিল তিনি হলফনামা জমা করে জানিয়েছিলেন, ৪ এপ্রিল সকাল ১০টা নাগাদ তিনি গাড়ি নিয়ে কোচিনের ওই হাসপাতলে যাবেন এবং সাড়ে দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু, আবেদনটি নাকচ হতে ৪ এপ্রিলেই তিনি ফের হলফনামা জমা দিয়ে ৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় বেরিয়ে সাড়ে দশটার মধ্যে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হলফনামা জমা দেন। এবারও তাঁর আবেদন নাকচ হওয়ায় তিনি সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
তিন বিড়ালের ছবি সহ জমা হওয়া সেই মামলার নথিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কঠিন সময়ে রাস্তার কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন, তখন পুলিসের এমন আচরণ অযৌক্তিক, অন্যায়। বস্তুত, পুলিস নিজেই ১৯৬০ সালের ‘প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট’ ভঙ্গ করেছে। যে আইনে বলা আছে, ‘অ্যানিম্যাল’ মানে মানুষ ছাড়া অন্য যে কোনও জীব। তাদেরও নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। স্রেফ টিকে থাকা বা বেঁচে থাকাই নয়, তাদেরও সুস্থভাবে, মর্যাদার সঙ্গে থাকার অধিকার আছে। ওই আইনের ৩ এবং ১১ ধারা অনুযায়ী তাদেরও খাদ্য ও আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশেষত যখন তারা গৃহপালিত। তাদের মারধর, লাথি মারা বা জোর করে কাজ করানোও অন্যায়। তাদের অকারণ যন্ত্রণা দিলে মানুষের শাস্তি পাওয়ার বিধান সেখানে আছে। কিন্তু, সেসব ভুলে পুলিস তাঁর বাইরে বেরনোর আর্জিকে ‘অকারণ যাত্রা’ বলে উল্লেখ করে বাতিল করেছে। যা প্রকারান্তরে ওই তিন জীবের প্রতি অন্যায় আচরণ। তাই অবিলম্বে তাঁকে ওই খাবার কেনার জন্য বেরনোর পারমিট দিতে পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হোক বলে তিনি আদালতে আর্জি পেশ করেন।