পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোড়াতেই সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিরোধী সব দলই। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকেও তারা সে কথা জানিয়ে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতদের সংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক, রেশনের মাধ্যমে চাল-গমের পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহ ফুড প্যাকেট না দেওয়া, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার কিট সরবরাহের অপ্রতুলতা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে আপাতত ফিভার ক্লিনিকে পরিণত করে সংশ্লিষ্ট উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষা করা এবং ভিন রাজ্যে আটকে পড়া কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রাসাচ্ছাদন এবং লকডাউন মিটলে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা করার মতো বিষয়গুলিতে সরকারের তরফে প্রয়েজনীয় উদ্যোগের অভাব নিয়ে সরব হয় তারা। ৩১ মার্চ ফ্রন্টের বৈঠকে নেতৃত্ব ঠিক করে, বিষয়গুলি নিয়ে তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে আলোচনার জন্য। সেই মতো শরিক দলগুলির সঙ্গে একটি দাবিপত্রও চূড়ান্ত করেছেন বিমানবাবুরা। রবিবার তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলি নিয়ে মুখোমুখি আলোচনা করা জরুরি বলে মনে করছি আমরা। তিনি যদি সময় না দিলে আমরা তখন রাজ্যপালের কাছে এনিয়ে যেতে বাধ্য হব। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে এদিন ফের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন সরকারি ভূমিকার সমালোচনা করে।
এদিকে, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের তরফে খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে এদিন মমতার কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব সংগঠন যুবলিগ। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আব্দুর রউফ বলেন, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত দুই রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার সরকার এব্যাপারে চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। হেল্প লাইনে ফোন করলে অমানবিক কথাবার্তা বলছে সেখানকার আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি দেখার জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর ও পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক গরিব মানুষের কাছে সরকারের তরফে কোনও ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।