বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়েছিল ২৬ মে। ২০ জুন ফলপ্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর তিন দফা কাউন্সেলিংয়ের পরও বহু আসন খালি পরে ছিল। মনে করা হয়েছিল, দেরিতে ফলপ্রকাশের ফলে এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছেন। প্রতিবারই এটা হয়। তাই এবার অনেকটাই এগিয়ে আনা হয়েছিল জয়েন্ট। যে পরীক্ষা সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিকের পরে হয়, সেটা এমনকী মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই নেওয়া হয়েছিল। আশা ছিল, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পরদিনই জয়েন্টের র্যাঙ্ক প্রকাশ করে দেওয়া হবে। কিন্তু টানা লকডাউন সমস্ত পরিকল্পনাই ভেস্তে দিয়েছে।
জয়েন্টের ফলপ্রকাশে প্রযুক্তিগত সহায়তা করে ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার বা এনআইসি। তাদের অফিসও বন্ধ। আর তাদের প্রযুক্তি নির্ভর কাজটা এমনই যে, বাড়ি থেকে করা সম্ভব নয়। তাই ফল কবে প্রকাশিত হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট বোর্ডের এক কর্তা। সব কাজই জমে রয়েছে। তবে কাজ একবার শুরু হয়ে গেলে বেশি সময় লাগবে না বলেই তিনি আশাবাদী। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের আগে জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করলে কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা হয়। কারণ দুটি পরীক্ষা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। উচ্চ মাধ্যমিকে নির্দিষ্ট নম্বর না পেলে জয়েন্টের ফল ভালো হলেও লাভ নেই। সেই পরীক্ষার্থী কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ নিতে পারবে না। তাই আগে পরীক্ষা হলেও জয়েন্টের ফল উচ্চ মাধ্যমিকের পর বের করাই উচিত।
এখানেই একটা আশার আলো দেখছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসই, আইএসসি অর্থাৎ রাজ্যের বা দেশের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাগুলি লকডাউনের জেরে আংশিক স্থগিত হয়ে আছে। উচ্চ মাধ্যমিকের হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির উত্তরপত্র বণ্টনের কাজও স্থগিত। বাকি পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়নি। এআইইইই, জেইই মেইন-এর মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলিও পিছিয়ে গিয়েছে। সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলির পাশাপাশি এপ্রিলের শেষে কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা। তবে পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপর নির্ভর করবে গোটা প্রক্রিয়া। এই রাজ্যগুলিই পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং বা জয়েন্ট ভিত্তিক পেশাদার কোর্স করতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের কাছে আকর্ষণীয়। তাই, বিশেষজ্ঞদের একটা মহলের মতে, লকডাউনের ক্ষতি অন্যান্য রাজ্যের এন্ট্রান্সে যে প্রভাব ফেলবে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তা ফেলবে না। কারণ, করোনার আঁচ না পেলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে আগেভাগে পরীক্ষা নিয়ে বসে আছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে বরং এগিয়েই থাকবে এ রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি। আসন খালি থাকার সম্ভাবনাও কমবে।