রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রবিবার হাওড়া, নদীয়া এবং হুগলির বেশ কিছু স্কুলের সঙ্গে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনলাইনে বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, সেখানে দু’পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঠিক হয়েছে, এই ক্লাস নিতে গেলে স্কুলগুলির কী রকম পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হবে। সেই মতো পদক্ষেপ করবে তারা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কীভাবে ক্লাস নেওয়া যায়, তা মূলত শেখানো হবে। কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে, কোথা থেকে বিভিন্ন রিসোর্স পাওয়া যাবে, তা সংগ্রহ করতে হবে কী করে ইত্যাদি নিয়ে পরামর্শ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের এ নিয়ে পাঠ দেওয়া হবে। তাঁরা বিষয়টি জেনে গেলে, পরে নিজেরাই তা কার্যকর করতে পারবেন। তখন পড়ুয়াদের ক্লাস করাতে সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এ বিষয়ে আরও সাহায্যের ভাবনাচিন্তা করছে। তবে সবটাই নির্ভর করবে স্কুলগুলি কী চাইছে, তার উপর। আগামী সপ্তাহ থেকেই শিক্ষকদের বিষয়গুলি শেখানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্কুলগুলি। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা দেওয়া যায়, তা শিখতে তাই আগ্রহী বহু শিক্ষক। এদিন তিনটি জেলার সঙ্গে বৈঠক হলেও, ধাপে ধাপে সব জেলার সঙ্গেই এমন বৈঠক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষামহলের অভিমত, অনলাইন ক্লাস নেওয়ার মতো পরিকাঠামো রাজ্যের একটা বড় অংশের স্কুলে নেই। তাছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে এই প্রযুক্তির সাহয্যে ক্লাস নেওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, সেখানকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি উন্নত নয়। অনেকেই প্রথম প্রজন্ম শিক্ষার্থী। সবার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার থাকবে, এমনটা নয়। তবে বাকি স্কুলগুলিকে যদি এভাবে ক্লাস নেওয়ার টোটকা শেখানো হয়, তাহলে উপকারই হবে।