কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশজুড়ে লকডাউন চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তার ফলে শহরের জমজমাট বাজারগুলি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। মার্চ মাসের শেষ থেকে বাজারগুলিতে চৈত্র সেলের কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবছর ছবিটা ভিন্ন। বাজার বন্ধ থাকায় থাকায় ব্যবসায়ীদের গোডাউনে স্তূপাকৃতি হয়ে রয়েছে মালপত্র। পাশাপাশি তাঁদের স্টল এবং দোকানেও পড়ে রয়েছে বিক্রয়যোগ্য বহু টাকার সামগ্রী। চলতি বছরে ব্যবসায়ীদের বহু সামগ্রী বিক্রি না হওয়ায় মহাজনের কাছেও লক্ষাধিক টাকা বাকি পড়ে গিয়েছে। বিক্রেতাদের মতে, মহাজনের ঋণ যেমন শোধ দিতে হবে, তেমনই পুরনো স্টকও খালি করা দরকার। সমীর দাস নামে এক পোশাক বিক্রেতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মহাজনের কাছে তাঁর সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে, এই আশঙ্কাতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিভিন্ন ছোট এবং বড় ব্যবসায়ীদের হালও খানিকটা একইরকম। তবে বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ঋণের অঙ্ক যে অনেক বেশি, তা বলাই বাহুল্য।
চৈত্র সেল চলাকালীনই নববর্ষের কালেকশন বাজারে এসে যায়। ফলে চৈত্র সেল থেকেই নতুন জামাকাপড় তথা সামগ্রিক কেনাকাটা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু মারণ ভাইরাসের প্রকোপ প্রতিদিন বাড়তে থাকায় আগামী ১৪ এপ্রিলের পর আদৌ এই লকডাউন উঠবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহে ব্যবসায়ীমহল। ফলে নতুন বছরের হালখাতায় নিঃসন্দেহে খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে আপাতত পুরনো কালেকশনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা।