ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
বহুদিন ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন কুমোরটুলির শিল্পী জবা পাল। ফোনে তিনি বলেন, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের জেরে এমনিতেই বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ। তাহলে নববর্ষের গণেশ পুজোটা হবে কী করে? তাই অনেক ব্যবসায়ী আমাদের ফোন করে জানিয়েছেন, এবার পুজো হবে তাঁদের বাড়িতে ঘটে-পটে। যদি প্রতিমাই বিক্রি না হয়, তাহলে প্রতিমা তৈরি করে কী লাভ? কুমোরটুলি স্ট্রিটের সুকুমার পাল বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কারিগর চলে গিয়েছেন তাঁদের নিজের বাড়িতে। কারণ এখানে এখন রোজগার-পাত্তি নেই। তাহলে চলবে কি করে। তাই লকডাউন ঘোষণার পর তাঁরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে গিয়েছেন নিজেদের বাসায়। প্রতিমা শিল্পী অজয় পাল বলেন, এইভাবে আর যদি কিছুদিন চলতে থাকে, তাহলে আমরা না খেয়ে মরবো। আমাদের অধিকাংশ মৃৎশিল্পীর হাতে জমানো কোন অর্থ নেই। দিন আনা দিন খাওয়ার মত অবস্থা। যদি কাজকর্মই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে চলবে আমাদের পেট। শিল্পী স্বপন পালের কথায়, প্রতিবছরই আমাদের ঘর থেকে ছোট মাঝারি মিলিয়ে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশোর মতন ছাঁচের ছোট গণেশ প্রতিমা তৈরি হয়ে থাকে। যা কিনে নিয়ে যান খুচরো ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার কারিগররা আগেই চলে গিয়েছেন। তাই আমি একাই অল্প সংখ্যক কিছু ছোট গণেশ প্রতিমা তৈরি করেছি। জানি না সেগুলো শেষ পর্যন্ত কী হবে।
শিল্পী সনাতন পাল আক্ষেপ করে বলেন, কয়েকজন শিল্পী একক প্রচেষ্টায় কিছু গণেশ প্রতিমার কাজ করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে বিভিন্ন যানবাহন বন্ধ। সব জেনে বুঝেও আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি, যদি কেউ এসে দু’চারটে প্রতিমাও কিনে নিয়ে যান। সব মিলিয়ে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের এখন একটাই প্রশ্ন, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে?