বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডিআরডিও’র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতেও যাঁরা নিত্যদিন বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের সর্বদা বিজ্ঞানসম্মতভাবে স্যানিটাইজ হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর যাঁরা করোনা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের জন্য বাজারে পর্যাপ্ত মাস্ক মিলছে না বলে অভিযোগ। তাই ডিআরডিও এই দুই সমস্যা সমাধানেই সচেষ্ট হয়েছে।
প্রথম সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে পার্সোনাল স্যানিটাইজার এনক্লোজার নামক একটি চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিদেশে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় এরকম চেম্বার রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয়েছে। ডিআরডিও জানিয়েছে, সেখানকার মতোই এই পিএসই’তে একদিক দিয়ে মানুষ ঢুকবে, মাঝের চেম্বারে হাইপোসোডিয়াম ক্লোরাইড, সাবান, জলের মিশ্রণ গোটা শরীরে (শুধু এই সময় চোখ বন্ধ রাখতে হবে) ছড়ানো হবে ২৫ সেকেন্ড ধরে। গোটা প্রক্রিয়াটাই স্বয়ংক্রিয়। এই চেম্বারের ৭০০ লিটারের ট্যাঙ্কের সাহায্যে প্রায় ৬৫০ জনকে জীবাণুমুক্ত করা যাবে। তারপরে আবার ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে হবে। হাসপাতালে ঢোকার মুখে, অফিস, শপিং মল সহ যে কোনও জায়গাতেই এগুলি লাগিয়ে রাখা সম্ভব। লকডাউন ওঠার পরেও করোনা ভয় থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে না ভারত। তাই দেশবাসীর জন্য এই উপহার। মাত্র চারদিনে ডিআরডিও’র আহমেদনগরে থাকা ভেহিক্যাল রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট (ভিআরডিই) সংস্থা এই পিএসই তৈরি করেছে।
এছাড়া ডিআরডিও’র অধীনস্থ আরও দুটি সংস্থা (হায়দরাবাদের রিসার্চ সেন্টার ইমারত এবং চণ্ডীগড়ের টার্মিনাল ব্যালেস্টিকস রিসার্চ ল্যাবরেটরি) পুরো মুখ ঢাকা এক নয়া ধরনের মাস্ক তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ এই চিকিৎসার কাজ করছেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে খুব কম ওজনের গোটা মুখ ঢাকা এই মাস্ক (থার্মোপ্লাস্টিক) তৈরি করা হয়েছে। এটা পচনশীল একধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি এরকম মাস্ক প্রস্তুত করে হায়দরাবাদ এবং চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে তা ব্যবহার করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। প্রত্যেকদিন এরকম এক হাজার মাস্ক তৈরি করা সম্ভব বলে ডিআরডিও জানিয়েছে।
এছাড়া দিল্লির সেন্টার ফর ফায়ার এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেফটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডিআরডিও দুটি পৃথকমাপের ছোট স্যানিটাইজার যন্ত্র তৈরি করেছে। দমকল বাহিনীর মতো একটি পিঠে নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় স্যানেটাইজার ছড়ানো যাবে। অন্যটা ট্রলি আকৃতির। ডিআরডিও জানিয়েছে, তাদের তৈরি এই যন্ত্র ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিস সফলভাবে ব্যবহার করছে। অন্য কেউ চাইলে তা তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থাটি।