কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত বছর দুয়েক ধরে বিভিন্ন দপ্তরে প্রকল্প খাতে বরাদ্দ যে টাকা আর্থিক বছরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খরচ না হয়ে পড়ে আছে, তা ফেরত নিতে উদ্যোগী অর্থদপ্তর। করোনা সংক্রমণের জেরে তৈরি হওয়া সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার নির্দেশিকা জারি করা হল। টাকা ফেরত দিতে খুব কম সময় দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন খাতে খরচ সঙ্কোচনের জন্য ইতিমধ্যে অর্থদপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে। ওই নির্দেশিকায় করোনা সংক্রমণের ফলে সরকারি খরচ বেড়ে যাওয়া ও আয় কমার জন্য যে খরচে কাটছাঁটের উদ্যোগ নিতে হচ্ছে এটা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশিকায় করোনা সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির কোনও উল্লেখ করা হয়নি।
খরচ না হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়, সেটা এবারও থাকছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা, বিদেশি আর্থিক সাহায্যে চলা প্রকল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে খরচ না হওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে না। অন্য সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে খরচ না হওয়া যে টাকা পিএল, এলএফ, ব্যাঙ্ক ও ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে, তা অর্থদপ্তরকে ফিরিয়ে দিতে হবে। ২০১৯-’২০ বা তারও আগের কোনও অর্থবর্ষের টাকা পড়ে থাকলে তা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, বিভিন্ন দপ্তরের কাছে শেষ করতে না পারা বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচুর টাকা পড়ে আছে। ওই টাকা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনের ভিত্তিতে তা কাজে লাগাতে পারবে সরকার।
রাজ্য সরকার এখন নিয়ম করেছে প্রতিটি প্রকল্পের খরচ আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে চালাতে হবে। কোন কোন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্পে, কত টাকা খরচ হচ্ছে, তার উপর এখন অর্থদপ্তর অনলাইনে নজরদারি চালাতে পারে। প্রতিটি দপ্তরের একেবারে নীচের স্তর পর্যন্ত অফিসগুলিকে প্রকল্পের খরচ না হওয়া টাকা এবার ফেরত দিতে হবে, না দিলেই সেটা অর্থদপ্তরের নজরদারিতে চলে আসবে।
করোনাজনিত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের আয় অনেকটাই কমে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প বন্ধ থাকার জন্য জিএসটি সহ বিভিন্ন কর আদায় ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাচ্ছে। জ্বালানি তেলের উপর কর থেকে শুধু সরকারের ঘরে কিছু টাকা আসছে। কিন্তু লকডাউনের জন্য রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা নগণ্য। জানা গিয়েছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ জ্বালানি তেল এখন বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকারকে করোনা মোকাবিলায় অতিরিক্ত প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এপ্রিল মাসে সরকারি স্থায়ী কর্মী সহ অন্যান্যদের বেতন ভাতা ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন দেওয়ার জন্য সরকারের প্রচুর টাকার প্রয়োজন হবে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার সংস্থান করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই উদ্যোগী হতে হয়েছে সরকারকে।