বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লকডাউন ঘোষণার পর প্রথম দিকে বাজারে ডিম ও চিকেনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। প্রতি পিস ডিম সাত টাকা ও চিকেন আড়াইশো টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ কিছুটা বাড়তে দাম খানিকটা কমেছে। অধিকাংশ বাজারে ডিম চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা ও চিকেন ২০০ টাকা কেজি দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। মদনবাবু মনে করেন, পাইকারি বাজারে গোটা চিকেনের যা দাম, তাতে ১৮০ টাকা কেজি দরে কাটা মাংস বিক্রি হওয়া উচিত। ডিমের দাম বাজারে ঠিক থাকলেও উৎপাদকরা লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজ্যের পোলট্রি মালিকরা এখন ডিম বিক্রি করছেন ৩ টাকা ৬০ পয়সা দরে। অন্ধ্রপ্রদেশের পোলট্রি মালিকরা আরও কম দাম পাচ্ছেন। যেখানে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় চার টাকা ২৫ পয়সা। কলকাতার পাইকারি বাজারে এখন ডিমের দাম চার টাকার আশপাশে বলে তিনি জানিয়েছেন।
লকডাউনের আগে থেকেই করোনা নিয়ে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ডিম ও চিকেন খাওয়া প্রচুর কমিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে তখন চাহিদা কমে যাওয়ার জেরে দাম ব্যাপকভাবে পড়ে যাওয়ায় পোলট্রি মালিকদের প্রচুর ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। লকডাউন শুরু হতে চিকেন ও ডিম খাওয়া বেশ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগে ডিমের দাম যেভাবে কমে গিয়েছিল, সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নিয়ে বাজারে পুলিস গিয়ে কেন বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে, তার জবাবদিহি চাইছে।
স্বাভাবিক সময়ে রাজ্যে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা থাকে প্রায় দু’কোটি সত্তর লক্ষ পিস। এর মধ্যে প্রায় দুই কোটি ডিম রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পোলট্রি থেকে মূলত সরবরাহ করা হয়। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ কয়েকটি জেলায় তুলনামূলকভাবে বেশি মুরগির পোলট্রি আছে। অন্ধ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ লক্ষ পিস ডিম আসে। ভিন রাজ্য থেকে আসা ডিম মূলত কলকাতার বাজারে সরবরাহ করা হয়। রাজ্যে উৎপাদিত ডিম জেলাগুলির চাহিদা মেটায়। চিকেন উৎপাদনে রাজ্য স্বয়ংভর। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কম বেশি মাংসের মুরগির পোলট্রি আছে।