কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিকে, রাজ্যের কোন কোন অংশে করোনার প্রভাব রয়েছে এবং আগামীদিনে প্রার্দুভাব বাড়তে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে, তা জানতে এলাকাভিত্তিক ‘জিওগ্র্যাফিকাল ইনফরমেশন সিস্টেম’ (জিআইএস) ম্যাপিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। মাল্টিলেয়ার ম্যাপিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে করোনার হটস্পট আর হটক্লাস্টার কোনগুলি, তা চিহ্নিত করা যাবে। কোন কোন এলাকায় বিদেশ ও ভিনরাজ্য থেকে আসা মানুষের সংখ্যা বেশি, কোন কোন এলাকায় করোনা আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে, সেখানে কতজন লোক আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, কতজন কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন, এই সব তথ্য যাচাই করে হটস্পট ও ক্লাস্টার চিহ্নিত করার কাজ চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ টাস্ক ফোর্স এবং সেন্টার ফর গ্লোবাল হেল্থ রিসার্চের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসকরাও। সেই টাস্ক ফোর্সের বিশিষ্ট সদস্য ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে এদিন চারজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচজন যাঁদের দু’বারের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে, তাঁরাও বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এই হাসপাতালে যে ২৪ জনের চিকিৎসা চলছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। এমনকী তাঁদের কারও ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হচ্ছে না। মুখ্যসচিব বলেন, রাজ্যে আরও ৮৪টি নতুন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ৫১৬টি সেন্টার চালু হল। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ১৩ হাজার ৫০০টি পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) মিলেছে। সেগুলি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় লেয়ার মিলিয়ে আরও এক লক্ষ মাস্ক বিলি করা হয়েছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে রাজ্যের করোনা তথ্যের ফারাক হচ্ছে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে মুখ্যসচিব বলেন, কেন্দ্রকে বলব ভালো করে সমস্ত তথ্য দেখতে। পরিসংখ্যান বা তথ্য কমিয়ে দেওয়া বা বাড়িয়ে দেওয়া কারও কাজ হতে পারে না।