গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিশ্ব বাংলা কেবল টিভি অপারেটর্স ইউনিয়নের সভাপতি শঙ্কর মণ্ডলের কথায়, রাজ্য সরকার যে নির্দেশকা জারি করেছে, তার সুযোগ নিতে পারেন অনেকেই। যাঁরা সরকারি বিজ্ঞপ্তির দোহাই দিয়ে টাকা দেবেন না, তাঁরা পরের মাসে সেই টাকা মিটিয়ে দেবেন, এমন গ্যারেন্টি নেই। এমনিতেই কেবল অপারেটরদের আয়ের জায়গা ছোট হয়ে গিয়েছে। এদিকে এমএসওদের আলাদা রোজগারের জায়গা আছে। যেমন ক্যারেজ মানি বা লোকাল চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বাবদ আয়। চ্যানেল বা ব্রডকাস্টাররাও বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেন। কিন্তু কেবল অপারেটরদের কোনও বিকল্প আয়ের পথ নেই। অথচ আমরা গ্রাহকদের থেকে টাকা না নিলেও, এমএসওরা কিন্তু আমাদের থেকে পুরো টাকা বুঝে নেবে। আমরা তাহলে কীভাবে ব্যবসা করব?
তবে সব অপারেটররাই যে গ্রাহকদের আবিশ্বাস করছেন, এমন নয়। কেবল অপারেটর্স সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, আমরা যে টাকাকড়ির ব্যপারে সবসময়ই খুব কড়াকড়ি করি, তা নয়। অনেক গ্রাহকই আছেন, যাঁরা ফোনে বলে দেন তাঁদের রিচার্জ করার কথা। সেই মতো আমরা করেও দিই। পরবর্তীকালে আমরা টাকা পেয়ে যাই। লকডাউন চলাকালীন যদি কেউ বাড়ি থেকে না বেরতে পারেন বা না চান, তাহলে আমাদের রিচার্জ করে দিতে কোনও অসুবিধা নেই। কারণ আমরা আমাদের গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। আমাদের মনে হয়, সব গ্রাহক টাকা মেটাতে একমাস সময় নেবেন না। অনেকেই এই পরিস্থিতিতেও টাকা মিটিয়ে দেবেন। তবে একটা অসুবিধা আছে। আমাদের পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়, কোন গ্রাহকের রিচার্জের সময়সীমা কখন শেষ হচ্ছে। তাই গ্রাহকরা যদি আমাদের সেই বিষয়ে জানিয়ে দেন, আমরা সেই মতো ব্যবস্থা করব। আর যদি বড় সংখ্যক গ্রাহক একমাসের উপর বিল পেমেন্ট ফেলে রাখেন, তাহলে তো সবারই সমস্যা হবে।