কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকদের দিনরাত পরিশ্রমে কোনও খামতি নেই। আর তাঁদের যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। ‘করোনা যোদ্ধা’দের পাশে সর্বতোভাবে রয়েছেন, এমনই বার্তা তুলে ধরেছেন রাজ্যের শাসক-বিরোধী ডাক্তার নেতা-নেত্রীরা। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন এ রাজ্যের বেশ কিছু বাসিন্দা। তাঁদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর বক্তব্য, সারা বছরই রোগী দেখার পর্ব চলে। আর এখন খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ দিয়ে মানুষের পাশে থাকাটাই বেশি জরুরি বলে মনে করছি। তাঁর দাবি, দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য এই মুহূর্তে ইনসেনটিভ ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। আর একটাই বার্তা, কেউ যেন চিকিৎসকদের গায়ে হাত না দেন।
‘নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান’—এই বার্তাই তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ ডাঃ মানস ভুঁইঞা। তাঁর বক্তব্য, আমাকে এবং আমার স্ত্রী বিধায়ক গীতারানি ভুঁইঞাকে প্রতিদিনই ৩০০-৪০০ মানুষ ফোন করছেন। করোনা আতঙ্কে রয়েছেন, এমন কথা বলে তাঁরা পরামর্শ চাইছেন। আর রোগ নিয়ে যাঁরা ফোন করছেন, তাঁদের উপসর্গগুলি শুনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁদের বলছি, অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে থাকুন।
গুরুতর অসুস্থতা না হলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। স্থানীয় ডাক্তার দেখান। এমনটাই এলাকার লোকজনকে বলছেন তৃণমূল বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়। তিনি জানান, অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যান। প্রয়োজনে স্থানীয় ডাক্তারের সঙ্গে আমিও ফোনে কথা বলে নেব।
ডায়ালিসিসের ফি একধাক্কায় ৩০০ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতা তথা ডাক্তার ফুয়াদ হালিম। তিনি বলেন, আগে ডায়ালিসিসের ফি নেওয়া হতো সাড়ে তিনশো টাকা। লকডাউনের সময় থেকে তা কমিয়ে করা হয়েছে ৫০ টাকা। প্রতিদিনই ৩০-৩৫ জন রোগী ডায়ালিসিস করতে আসছেন। সেইসঙ্গে চেম্বারে রোগী দেখা চলছেই। আর প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ ফোন করছেন। রোগীর জরুরি বা গুরুতর অবস্থা না হলে, বাইরে বেরনো উচিত নয়, সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
গলব্লাডার স্টোন, সামান্য অসুস্থতা নিয়ে ফোন এসেছে বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের কাছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিদিনই তাঁকে বসতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যের যে ডাক্তাররা রোগীদের বাঁচাতে নিরলস সংগ্রাম করে চলেছেন, তাঁদের সাবধানতা মেনে চলা খুব জরুরি। আর কোনও চাপের কাছে তাঁরা যেন নতি স্বীকার না করেন। সত্যটাকে যেন সব সময় সামনে আনেন। কংগ্রেস নেত্রী ডাঃ মায়া ঘোষের দক্ষিণ কলকাতায় একটি নার্সিংহোম রয়েছে। তিনি বলেন, রোগীর সংখ্যা এখন খুব কম। আর ডেলিভারি পেশেন্ট, ইমার্জেন্সি পেশেন্টই এখন আসছেন। তবে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে আতঙ্কিত মা-বাবারা ছুটে চলে আসছেন, ফোন করছেন। সেইমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।