পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মমতা বা রাজ্যের শাসক দলের তাবড় নেতা-মন্ত্রীদের পথে অবশ্য হাঁটছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার বা বিজেপির ম্যানেজাররা। মোদির আহ্বান পালন করার জন্য কার্যত মুখিয়ে রয়েছেন রাজ্যপাল। তাই রাত ন’টায় ন’মিনিটের জন্য রাজভবন কার্যত ডুবে যাবে আঁধারে। বিবৃতি জারি করে প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিতে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি রাজ্যবাসীকে। তাঁর কথায়, এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ঐক্যের এক সুতোয় বাঁধতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাই তাঁর ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য বলে আমি মনে করি। রাজ্যপালের মতোই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ দলের তামাম নেতা-কর্মীরাও মোদির তালে তাল মেলাতে রাত ন’টায় ঘরের আলো বন্ধ রেখে মোমবাতি-প্রদীপ জ্বালানোর পথই বেছে নিচ্ছেন।
তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মোদির এই ঘোষণা মেনে কে কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে করোনা মোকাবিলায় মমতার নেতৃত্বে রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর। আমরা মনে করি না, এই কঠিন সময়ে কিছুক্ষণ ঘরের আলো বন্ধ করে সেই তৎপরতায় কোনও ব্যাঘাত ঘটানোর প্রয়োজন আছে। আর গোটা দেশের সঙ্গে বাংলার মানুষ এই অবস্থায় অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। লকডাউন মেনে চলার ক্ষেত্রে সেটা প্রমাণিত। তাই আমি অন্যান্য দিনের মতোই রবিবার রাতে ঘরে আলো জ্বেলে নিজের কাজ করব। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে করোনা মোকাবিলার কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন। সেই কারণে তিনিও আর পাঁচটা দিনের মতো আলো জ্বেলেই কাটাবেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুরাও হাঁটবেন একই পথে।
এব্যাপারে ভিন্ন রাস্তায় হাঁটছে না রাজ্যের বিরোধী জোট বাম-কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীরাও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির যুক্তি দেখিয়ে আজ অন্তত বাড়ি বা দলীয় দপ্তরের আলো নেভাবেন না।