কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২ এপ্রিল রাজ্যের দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তার যৌথভাবে জারি করা এক বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে রাজ্য জানায়, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দেহ নিয়ে আসা এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হলে নোভেল করোনায় মৃতের শরীর থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্যের যৌথভাবে জারি করা এই নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘কোভিড ১৯’-এ মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৪ মার্চ ২০২০-এ প্রকাশিত সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার জন্য কারও এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার খবর নেই।
নির্দেশনামায় আরও বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে, তা মেনে চললে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। কোভিড-১৯ ছড়ায় হাঁচি-কাশির কণা বা ড্রপলেটের মাধ্যমে। তাই মৃতদেহ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, রোগীর পরিজনদের মধ্যে বা স্থানীয় এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও নেই। শুধু তাই নয়, ৮০০-১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মৃতদেহ সৎকার করা হয়। এই প্রচণ্ড তাপমাত্রায় কোনও ভাইরাসের বেঁচে থাকার আশঙ্কা থাকে না। সৎকারের সময় বেরিয়ে আসা ধোঁয়া থেকে কারও করোনা হয়েছে, এমন উদাহরণও নেই।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কোভিড ১৯ আক্রান্ত মৃতদেহের শেষকৃত্য নিয়ে গত ক’দিন ধরে তুমুল হুলস্থুল চলছে। বুধবার সন্ধ্যায়ও মৃতদের সৎকারের প্রক্রিয়া ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। তখনকার মতো পরিস্থিতি পুলিস নিয়ন্ত্রণে আনলেও এনআরএস-এ করোনা সংক্রমণে মৃত তপন দাসের সৎকার ইস্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকা। এমনকী প্রগতি ময়দান এবং সার্ভে পার্ক থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশাল পুলিসকর্মী মোতায়েন করে করোনা সংক্রমণে অপর দুই মৃত সাধন সাধুখাঁ এবং রণজিৎ কুমার দাসের দেহ ধাপা শ্মশানে সৎকার করা হয়। রাজ্যে করোনায় প্রথম মৃত্যু হওয়া দমদমের সেই রেলকর্মীর ক্ষেত্রেও শেষকৃত্য করতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সল্টলেক আমরি হাসপাতাল থেকে শ্মশানে যাওয়ার গাড়ি দিতেই অস্বীকার করেছিল বেশিরভাগ শববাহী যান দেওয়ার সংস্থা।