বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
নিত্যদিনের জীবন ইদানীং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল অ্যাপ নির্ভর হয়ে উঠেছে। খাওয়া-দাওয়া, ওষুধপত্র, আমোদ-প্রমোদ, এমনকী শিক্ষা— সবকিছুই পাওয়া যায় অ্যাপের ছোট্ট স্ক্রিনে এক স্পর্শেই। প্রযুক্তির এই অত্যাধুনিক প্রয়োগকে শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই হাতছাড়া করা যায় না। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে তা রীতিমত চাক্ষুষ করছেন পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বেশিরভাগ স্কুলে মার্চ মাসের প্রথমার্ধেই শুরু হয়ে যায় নতুন পাঠবর্ষ। তবে করোনা ভাইরাস এর জেরে দেশ এখন গৃহবন্দি। লাটে উঠেছে নতুন পাঠবর্ষ চালু করা। এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে পড়ুয়াদের এগিয়ে নিতে চাইছেন ‘সচেতন’ গৃহশিক্ষকরা।
গৃহশিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মোবাইলে এইরকম বহু অ্যাপ রয়েছে, যার সাহায্যে এক এবং একাধিক পড়ুয়াকে একসঙ্গে পড়ানো যেতে পারে। সেই সমস্ত অ্যাপের ‘ভিডিও কল’ প্রযুক্তির সাহায্যে পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও করা যায়। শ্রীতমা ঠাকুর নামে এক গৃহশিক্ষক বলেন, এই নয়া প্রযুক্তিতে পড়াশোনা করতে পড়ুয়ারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। পাশাপাশি ভিডিও কলের সুবিধা থাকায় পড়ুয়াদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে না। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা হোমওয়ার্ক করে তার ছবি তুলে পাঠিয়ে দিচ্ছে আমার হোয়াটসঅ্যাপে, আর ভিডিও কলে পড়ুয়াদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দিচ্ছি। এই পদ্ধতিতে পড়াশোনার ফলে অনেক কম সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি শিখতে পারবে বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ গৃহশিক্ষকরা। বাড়ি থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও পড়াশুনায় ‘লকডাউন’ কাটিয়ে ওঠার এই ব্যবস্থায় স্বভাবতই খুশি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও। এমনকী, তারাই গৃহশিক্ষকদের কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘ভার্চুয়াল টিউশন’ দেওয়ার জন্য। পেশাগত কারণে না নেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখেও। বেহালা এলাকার এক শিক্ষিকা, বর্ষা চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের একত্রে একই সময়ে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই পড়ুয়াদের ‘টিউশন টাইম’ জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। তার মতে, গৃহবন্দি অবস্থায় ঘরে বসে থাকার চেয়ে ছাত্র-ছাত্রী পড়ালে স্বাচ্ছন্দ্যে সময়ও কেটে যায়, এমনকী নিজেকেও পড়াশোনার চর্চার মধ্যে রাখা সম্ভব। এতে পড়ুয়ারা অত্যন্ত উপকৃত হতে পারবে বলেই আশা করছেন ওই শিক্ষিকা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যে কোনও পেশার অন্যতম লক্ষ্য পারিশ্রমিক। গৃহশিক্ষকদের সেই পারিশ্রমিকও হয়ে গিয়েছে ‘ভার্চুয়াল’। অভিভাবকরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্দিষ্ট এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাঠিয়ে দিচ্ছেন তাদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। বলাই বাহুল্য, লকডাউনের জেরে এখানেও সহায়তার হাত বাড়িয়েছে ডিজিটাল মাধ্যম।