গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, জীবনদর্শন বদলেছে। ছেলে-মেয়েরা মোবাইল, ট্যাবেই বেশি সময় কাটান। তাছাড়া ভিজুয়্যাল কিছু থাকলে তাতে আগ্রহ তৈরি হয়, অনলাইন ক্লাসে সেটাই হচ্ছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ বেড়েছে। অনেক কলেজ থেকেই এই রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এটা খুবই ইতিবাচক পরিবর্তন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অনলাইনেই মিটিং করার ক্ষেত্রেও এসেছে অনেক বদল। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতির হারও বেড়ে গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, এমনি সময়ে ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হলে সেখানে দেখা যেত ২৫ জনের মধ্যে ১৫-১৬ জন এসেছেন। কিন্তু এখন সবাই উপস্থিত থাকছেন।
তবে ক্লাসে অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধির কারণ কি শুধুই মোবাইল? শিক্ষামহলের মতে, লকডাউনের জেরে এখন কেউই বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের ব্যবস্থা করছে। তাতে হাজির থাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই। তাছাড়া সিলেবাস একটু একটু করে এগিয়ে যাবে। যাঁরা ক্লাস করবেন না, পরবর্তী সময়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই কথা মাথায় রেখে সবাই ক্লাস করার দিকে মন দিয়েছেন। তবে ক্লাসের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-পড়ুয়াদের জন্য অন্য ব্যবস্থাও রেখেছে। শিক্ষকরা রোজ কী করছেন, কী পড়ালেন বা কোনও কোর্স করলেন কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আপলোড করতে পারবেন। একই ভাবে ছাত্রছাত্রীরাও বাড়িতে বসে কোনও কাজ করে থাকলে, সেটিও ওই পোর্টালে তুলে দিতে পারবেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্ষেত্রে ক্লাসে অংশগ্রহণ বেশি হলেও, সাধারণ ডিগ্রি কলেজে কিন্তু তা কমই। বেশ কিছু কলেজে দেখা যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও, ছেলেমেয়েরা নেই। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিজ্ঞান শাখায় পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ভালো থাকলেও, কমার্সে একদমই পড়ুয়া থাকছে না। তবে বেশ কিছু কলেজ ক্লাস নয়, অনলাইন নোটস, প্রশ্নপত্র ইত্যাদি আপলোড করে দিচ্ছে। সেখান থেকেই ছাত্রছাত্রীরা সব পেয়ে যাচ্ছেন। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে দূরবর্তী বা প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়াদের নিয়ে। একাধিক কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ আছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছেই। তাই অনলাইন ক্লাস করিয়ে কতজনের সুবিধা হবে, তা বোঝা মুশকিল।