পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রের খবর, এই সময়ে রাজ্যে বিদ্যুৎ চাহিদা অনেকটাই বেশি থাকে। তার প্রথম কারণ হলো বোরো চাষ। সেচের কাজে পাম্প চালাতে ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ। দ্বিতীয়ত, গরম। গরমের জন্য চলে ফ্যান, এসি। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যায়। গত বছর এই সময়ে দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল কমবেশি ছয় হাজার মেগাওয়াট। সেই জায়গায় বর্তমানে বন্টন কোম্পানির এলাকায় দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ঘুরপাক খাচ্ছে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের আশপাশে। গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বণ্টন করার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি বিদ্যুৎ নিয়ে থাকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের থেকে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের এক কর্তা বলেন, যেহেতু বিদ্যুৎ চাহিদা কম থাকছে, সেইমতো উৎপাদনও কমানো হয়েছে। সাধারণত এই সময়ে ৩৩০০ মেগাওয়াটের আশপাশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সেই জায়গায় বর্তমানে ৭০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা ঠিকই যে গত বছর এই সময় যে চাহিদা ছিল বিদ্যুতের, তার তুলনায় এখন চাহিদা অনেকটাই কম। আসলে লকডাউনের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-কাছারি, শিল্প-কলকারখানা বন্ধ। তাই চাহিদা কিছুটা কম হচ্ছে। আর যেহেতু চাহিদা কমেছে, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমাতে হয়েছে। তবে এখানে আরও একটি বিষয় রয়েছে। যেহেতু এখন মানুষ ঘরের মধ্যে থাকছেন, তাই বিদ্যুতের ব্যবহার, প্রয়োজনীয়তা থাকছে গোটা দিনের জন্য। এই সময় সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সর্বত্র এলার্ট করা হয়েছে। বিশেষত কোথাও হঠাৎ কিছু ঘটে গেলে যাতে দ্রুত তার মোকাবিলা করা যায়, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মেইনটেনেন্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের কর্মী-অফিসাররা কাজ করছেন। গোটা রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজরদারি রাখা হচ্ছে।