পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে পিপিই’র মতোই জরুরি মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস। দিল্লির একটি সংস্থা এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে। কিন্তু তারা চাহিদা মতো সরবরাহ করতে পারছে না। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এমএসএমই দপ্তর মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস বানানোর কাজও শুরু করেছে। গত ১৫ দিন ধরে হাওড়ার সাঁকরাইল সহ বাছাই করা কয়েকটি ইউনিটে বানানো হয়েছে ৬৫ হাজার লিটারেরও বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পাঁচ লক্ষ মাস্ক এবং দু’লক্ষ গ্রিন পপলাইন মাস্ক। এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার সাঁকরাইলে ক্ষুদ্র শিল্প তালুকের দুটি ইউনিটে পিপিই’র জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রো ফাইবার শিট তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০ হাজার মিটার মাইক্রো ফাইবার শিট তৈরি করা হচ্ছে। দপ্তরের মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, এই মাইক্রো ফাইবার শিট দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে পিপিই। তার সঙ্গেই তৈরি করা হচ্ছে, পিপিই’র সঙ্গে ব্যবহৃত মোজা, গ্লাভস, চশমা ও মাস্ক। জিএসটি সহ সব মিলিয়ে একেকটি পিপিই’র দাম পড়ছে ৭০০ টাকার কিছু বেশি। মন্ত্রী জানান, মেটিয়াবুরুজের কয়েকটি স্টিচিং ইউনিটকে এই পোশাক সেলাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত নিয়ম-নীতি মেনেই তৈরি হচ্ছে পিপিই। স্বাস্থ্য দপ্তরও এই পোশাক অনুমোদন ও ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে।
এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, করোনা চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত হাসপাতাল, নার্সিংহোম, আইসোলেশন ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পিপিই চেয়ে আর্জি আসছে। সে কারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা তৈরি করা হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য জরুরি এই পোশাকের মূল উপাদান মাইক্রো ফাইবার শিট দ্বিগুণ অর্থাৎ এক লক্ষ মিটার উৎপাদন করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এর জন্য সাঁকরাইলে আরও পাঁচটি ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আরও তিনটি স্টিচিং ইউনিট তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পিপিই তৈরির ক্ষেত্রে তন্তুজ যে গতিতে কাজ করছে, তাতে আর এই রাজ্যকে ভিনরাজ্যের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না, এমনটাই দাবি এমএসএমই কর্তাদের।