গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লকডাউনে প্রায় স্তব্ধ গোটা দেশ। বন্ধ স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, কারখানা। গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও, মুদিখানা খোলা থাকবে বলে সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে। বিক্রি হবে দুধ, মাছ, মাংস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে লাগু হয়েছে এই নিয়ম, চলবে ২৭ তারিখ রাত বারোটা পর্যন্ত। ফলত, টানা পাঁচ দিন রাজ্যবাসীকে করোনা মোকাবিলায় গৃহবন্দি থাকার নিদান দেওয়া হয়েছে। এই কটা দিন কেউ নিজের বাড়ি ছেড়ে ছুটি কাটাতে আত্মীয়-পরিজনদের বাড়িতে যাবেন না এমনই বার্তা তুলে ধরেছেন নেটিজেনরা। যেখানে, তাঁরা নিজের বাড়ির দরজায় পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন।
আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, যতই রাগ করুন, কোনও আত্মীয়-পরিজন আগামী ১০ দিন বাড়িতে আসবেন না। সোমবার দিনভর ফেসবুক-ট্যুইটারে এমনই বার্তা দেখা গিয়েছে। আর তাতে লাইক, কমেন্ট পড়ছে দেদার। যাদবপুরের বাসিন্দা রানা সরকারের বক্তব্য, বাঙালিদের কাছে তিন-চারটে দিন হাতে পাওয়া মানেই একটা ছুটির মরশুম হয়ে যায়। তখন কেউ বাইরে ছুটি কাটাতে চলে যায়। আবার কেউ স্ত্রী-পুত্র- কন্যাকে নিয়ে নিকটজনের বাড়িতে বেড়াতে চলে আসে। কিন্তু করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আগামী কয়েক দিন কোনও আত্মীয়-পরিজন যাতে বাড়িতে না আসেন, তা ফেসবুকে লিখে জানিয়ে দিয়েছি।
একই বার্তা দেখা গিয়েছে ফেসবুকের একাধিক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের। করোনা নিয়ে রাজ্যবাসী যে চিন্তায় রয়েছেন তার বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরছেন। এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, নিকটজনের খোঁজখবর নিচ্ছেন আত্মীয়-পরিজনরা। কে, কেমন আছেন, এলাকায় কেউ আক্রান্ত কিনা, এ যাবতীয় খোঁজখবর নেওয়ার পালা চলছে প্রতিদিনই।
কিন্তু, এই খোঁজ নিতে গিয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে যাতে না আসেন এমন বার্তাও তুলে ধরেছেন শহরবাসী। হাতিবাগানের বাসিন্দা শুভ্রাংশু রায় ফেসবুকে লিখেছেন, করোনা নিয়ে খোঁজখবর নিন ফোন মারফত। কিন্তু বাড়িতে এসে ভিড় বাড়িয়ে ভাইরাসের পরিধি বাড়াতে সাহায্য করবেন না। যাবতীয় দেখা-সাক্ষাৎ হবে এপ্রিল মাসের পর। অবশ্যই সুস্থ থাকলে!