পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিষদীয় তহবিলের জন্য এক মাসের বেতন দেওয়ার বার্তা পাওয়ায় তৃণমূলের অনেক বিধায়ক কিছুটা ধন্দে পড়েছেন। এর আগে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার কমিটির বৈঠকে হাজিরা বাবদ বিধায়করা মাসে যে ৬০ হাজার টাকা রোজগার করে থাকেন, সেই অঙ্কটি দলমত নির্বিশেষে মুখ্যমন্ত্রীর করোনা ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন সবাইকে। এবিষয়ে তাঁর ভিডিও বার্তা এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে বিভিন্ন দলের একাধিক বিধায়ক অধ্যক্ষের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ফোন করেন। লকডাউন শেষে বিধানসভার অফিস খুললে তাঁরা ওই টাকার চেক করোনা তহবিলের জন্য জমা দেবেন বলে অধ্যক্ষের কাছে আগ্রহ ব্যক্ত করেন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং বিজেপি’র বিধায়ক দলের নেতা মনোজ টিগ্গা অধ্যক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পার্থবাবুর তরফে এক মাসের বেতন দেওয়ার বার্তা পেয়ে তৃণমূল বিধায়কদের একাংশের ধারণা হয়েছে, তাহলে ভাতা নয়, এক মাসের বেতনের অংশটুকু সরাসরি করোনা তহবিলের জন্য বরাদ্দ করলেই হবে। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, বেতনের পাশাপাশি বৈঠক-ভাতার টাকাও আলাদা করে জমা দিতে হবে। যদিও পার্থবাবু আগেই বলেছেন, পরিষদীয়মন্ত্রী হিসেবে আমি দলের বিধায়কদের এক মাসের বেতন জমা দিতে বলছি।
পার্থবাবুর এই বার্তা বিধায়ক হিসেবে পেয়েছেন স্বয়ং অধ্যক্ষও। এদিন তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে এনিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি অধ্যক্ষ হিসেবে সব দলের বিধায়কদের কাছে বৈঠক-ভাতার অঙ্কটুকু মুখ্যমন্ত্রীর করোনা তহবিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি মাত্র। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও এমপি’দের কাছে তাঁর পদাধিকারবলে একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাছাড়া লকডাউনের কারণে বিধানসভা বন্ধ থাকায় কমিটি বৈঠকে না এসেই বিধায়করা এবার ওই ভাতা পেতেন। তাঁদের যেহেতু বৈঠকে আসতে হচ্ছে না, সেই কারণে আমি এই আহ্বান জানিয়েছি। এখান থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্ন নেই। এখন আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কারা বৈঠক-ভাতার অঙ্কটুকু জমা দেবেন, সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। এব্যাপারে কোনও বিভ্রান্তি নেই। বিধানসভা খুললে বিষয়টি নিয়ে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।