পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শেওড়াফুলির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ় জেলা একাধিক জা,গায় গিয়েছিনে। ফলে তাঁর গতিবিধি আতঙ্ক বাড়িয়েছে। সোমবার ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী এবং সন্তান, পাশের বাড়িতে থাকা তাঁর ভাই, ভ্রাতৃবধূ ও তাঁদের দুই সন্তান সহ বাড়ির পরিচারিকা, গাড়ির ড্রাইভার ও তাঁদের পরিবারের মোট ১২ জনকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি চন্দননগর এবং উত্তরপাড়ার দুটি নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই দুই চিকিৎসক সহ স্থানীয় সব্জি বাজারের একাধিক বিক্রেতাকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপাড়ার যে চিকিৎসককে তিনি দেখিয়েছিলেন, তিনি লিলুয়ায় চেম্বার করেন। ফলে সংক্রমণের পরিধি কতটা হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ওই আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্টিল প্ল্যান্টে উচ্চপদে কাজ করতেন। তিনি শেওড়াফুলি থেকে দুর্গাপুরে যেতেন সকালের ব্ল্যাক ডায়মন্ড ট্রেন ধরে। সাম্প্রতিককালে তিনি জয়নগরে বোনের বাড়ি এবং মথুরাপুরে মায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ২৮ মার্চ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার আগে তাঁর এই গতিবিধি প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই উত্তরপাড়ায় ওই ডাক্তারের চেম্বার এবং শেওড়াফুলিতে প্রৌঢ়ের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা জীবাণুনাশক দিয়ে সাফসুতরো করা হয়েছে। ওই প্রৌঢ় গাঙ্গুলিবাজার এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাজার করতেন। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার তাঁকে বাজারে দেখা গিয়েছে। ফলে ওই সব এলাকার মানুষকে নজরদারির আওতায় রাখছে পুলিস ও প্রশাসন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে জেলার একাধিক জায়গায় ঘোরাঘুরি করলেও ওই ব্যক্তির ভিনরাজ্যে বা বিদেশ যাত্রার কোনও সূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে কোথা থেকে তিনি সংক্রমিত হলেন, সেই প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, বরানগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়োগীপাড়ায় এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন সকালে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে যান স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়, বরানগর পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের পুর পারিষদ দিলীপনারায়ণ বসু। তাঁদের তত্ত্বাবধানে ওই ওয়ার্ড সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় দমকল কর্মীরা বিশেষ রাসায়নিক স্প্রে করে স্যানিটেশনের কাজ করেন। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের ১৮ জন, রক্ত সংগ্রাহক, অ্যাম্বুলেন্সের দুই কর্মী, বাড়ির এক পরিচারক সহ সব মিলিয়ে ২৪ জনকে তুলে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২১ জনকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এবং তিনজনকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় দোকানপাট কার্যত বন্ধ ছিল। আশপাশের পাড়াও ছিল শুনশান। খবর চাউর হতেই সকলের মধ্যেই আতঙ্ক বাসা বেঁধেছে।