পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনার মতো বিপর্যয়কে গত তিন মাস ধরে তারা কীভাবে সামলেছে, তা এবার ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিকে জানাতে চায় চীন। সেই লক্ষ্যে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) তাদের দেশের এক ঝাঁক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে একটি সময়োপযোগী পুস্তিকা তৈরি করেছে। সরকারি বা বেসরকারি স্তরে করোনা মোকাবিলায় রোগী থেকে প্রশাসন—সর্বস্তরে কার কী করণীয়, তা ৬৮ পাতার ওই পুস্তিকাতে বলা হয়েছে। সিপিসি এবার সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো এদেশের প্রথম সারির বাম শক্তির পাশাপাশি বিজেপি এবং কংগ্রেসের মতো দক্ষিণপন্থী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসতেও তৎপর হয়েছে। পাশাপাশি এশিয়ার অন্যান্য দেশের যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, তাদের সঙ্গেও বসতে চলেছে সিপিসি। লকডাউনের বাতাবরণের মধ্যেই অনলাইন কনফারেন্সের আয়োজন করছে তারা। রবিবার থেকে ধাপে ধাপে এই আলোচনাপর্ব শুরু হয়েছে। চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনা ভাইরাস এবং তার সংক্রমণ নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন দেশে। মার্কিন মুলুকের কেউ একজন নাকি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার হুমকিও দিয়েছে। এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় সাফল্যের উপায় বোঝানোর পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডন করাও এই রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতে যেভাবে এই মারণ রোগ ক্রমশ থাবা বিস্তার করছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের মডেলকে অবিলম্বে এদেশে কার্যকর করার পক্ষে সওয়াল করছে বাম দলগুলি। ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজন সিপিসি’র তরফে পাওয়া সেই ই-মেল ফরওয়ার্ড করেছেন কেরল ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সেটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সহ প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষস্তরে পাঠিয়ে দেন বিবেচনার জন্য। সেরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শৈলজা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে পাঠানো মেলের জবাব অবশ্য এখনও পাননি দেবরাজন।