ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
রবিবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি শিবিরে যোগদান করতে গিয়ে রক্ত সঙ্কটের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কলকাতার বিভিন্ন ক্লাব বা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তদানের ব্যবস্থা করবেন। প্রতিদিন পাঁচ-ছয় জনের গ্রুপ করে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তদান করার প্রক্রিয়া চালু করার প্রচেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, শহরের সব কাউন্সিলারের কাছেও তিনি এব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ করবেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রতি বছর কমবেশি ১৫ লক্ষ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন পড়ে। যদিও, কোনওদিনই বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ ইউনিটের বেশি রক্ত সংগ্রহ হয় না। রাজ্য সরকারের ৮৪টি, কেন্দ্রীয় সরকারের ১৬টি, বেসরকারি ৩৪টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই বছর করোনার জেরে সেই রক্ত সংগ্রহে আরও বড় ধাক্কা লেগেছে। লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে রক্তদান শিবিরকে। কিন্তু, একটি শিবিরে ৩০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মেডিক্যাল ব্লাড ব্যাঙ্কের সম্পাদক ডি আশিস জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্কের জেরে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরগুলি হচ্ছে না। থ্যালাসেমিয়া, লিউকোমিয়া, হিমোফিলিয়া, গর্ভবতী মহিলা সর্বোপরি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিদিনই রক্তের প্রয়োজন। তথ্য বলছে, আমাদের রাজ্যে প্রতিবছর যে পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ হয়, তা দিয়ে প্রায় ৪০,০০০ থালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা হয়। সংগৃহীত রক্তের প্রায় ৪০ শতাংশ দরকার পড়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে রক্ত সঙ্কট আরও বড় আকার ধারণ করবে।
অন্যদিকে, ডেপুটি মেয়র অতীনবাবু জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী, যাঁরা দূরে থাকেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই শহরের ১৬টি বরোতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। যার ফলে এতদিন যেখানে ৭০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানো সম্ভব হচ্ছিল, সেখানে বাকিগুলিও অর্থাৎ ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রই আজ থেকে চালু রাখা হবে।