বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে, করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলা ২১ দিনের লকডাউন এবং বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকদের ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। কাজ হারানো শ্রমিক সহ কোনও মানুষই যাতে লকডাউন উপেক্ষা করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচল করতে না পারে, সেকারণে আন্তঃরাজ্য এবং জেলা সীমান্তগুলিকে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শুক্র এবং শনিবার সকালে সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিসের ডিজির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। লকডাউনের সময় একমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া জাতীয় সড়ক এবং শহরগুলিতে সব রকমের যান এবং মানুষ চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়েছে। সব জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের এই বিষয়ে প্রত্যক্ষ নজরদারি করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন ভেঙে যাঁরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বা এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত করেছেন, সংক্রমণের সম্ভাবনা ঠেকাতে তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক ও ছাত্রদের আশ্রয়স্থল ছাড়তে কোনওভাবে বাধ্য করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। এই সময় তাঁদের কাছ থেকে কোনওরকম বাড়িভাড়াও নেওয়া যাবে না। নিয়োগকর্তাকে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষ এবং অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের কাজের জায়গায় খাবার ও আশ্রয় সহ জরুরি পরিষেবা দিতে রাজ্যগুলি প্রয়োজনে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্দেশ দেওয়ার পর বিকেলে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেন।