কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা)-র সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু শুক্রবার বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের। কিন্তু লকডাউনের জেরে সবই বন্ধ। তবে বৃহস্পতিবার একটি অনলাইন বৈঠকে সমিতির কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা আমরা উপাচার্যের কাছে চিঠি লিখে পাঠাচ্ছি। বৈঠকে সিলেবাসে কাটছাঁটের প্রস্তাব উঠে এসেছে। এর পাশাপাশি, দু’’টি সেমেস্টার জুড়ে দেওয়া এবং পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। অনলাইন কোর্স চালু রেখে পঠনপাঠন এগনোর কথা বলা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু পর্যাপ্ত অনলাইন কোর্সওয়্যার অধিকাংশ জায়গাতেই নেই। আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক ছাত্রছাত্রী ইন্টারনেটের সুবিধাই পায় না। সেখানে পঠনপাঠন, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া- এসব গিমিক মনে হয়। অনেক প্রবীণ শিক্ষকও এসবে সাবলীল নন। তাই লকডাউনের গোটা সময়টাই নষ্ট হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতি (জুটা)-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতীম রায় বলেন, লকডাউনে পঠনপাঠনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষাবর্ষে অদলবদলের প্রয়োজন হয়ত রয়েছে। কিন্তু যেদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, সেদিন থেকে হিসেবটা করতে হবে। আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তারপর সেটা বেড়ে হল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। সেটা যে আরও বাড়বে না, তা আগাম বলা যাচ্ছে না। তাই প্রকৃত সময়টা জানা জরুরি। একই কথা বলছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীও। তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক মতামত জানতে চেয়েছে ঠিকই। কিন্তু লকডাউন কবে শেষ হচ্ছে, সেটা আগে জানতে হবে। ১৪ এপ্রিলটা যে ১৪ জুন হবে না, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই সেমেস্টার পিছনো বা ওই ধরনের সিদ্ধান্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেব।
স্কুল শিক্ষাতেও চিন্তার ভাঁজ। এ বছর কিন্তু পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পাশফেলও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, এখন রোগ ঠেকানো এবং গরিবের মুখে খাবার তুলে দেওয়াটাই অগ্রাধিকার। কিন্তু লকডাউনের অন্যান্য ক্ষতিগুলিও ভাবাচ্ছে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম সামেটিভ ইভ্যালুয়েশন হয়। সেটা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়টির সঙ্গে জুড়ে দিলে সমস্যাটি মিটবে। তবে, সেই অনুযায়ী সিলেবাসে পরিবর্তন আনাও জরুরি। গ্রীষ্মের ছুটি ক্যালেন্ডার মাফিক ঘোষণা না করে জরুরি প্রয়োজনেও দেওয়ার জন্য পর্ষদের কাছে আবেদন জানাব। তবে, ১৪ এপ্রিলের বেশি লকডাউন না বাড়লে শিক্ষাবর্ষ পিছনোর প্রয়োজন নাও পড়তে পারে।
কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ঘোষণার পর পাশফেল নিয়ে সরকারের তো উচ্চবাচ্য দেখছি না। হয়ত সবটাই নমো নমো করে হবে। ফল প্রকাশের পর যে দু›তিন মাস সময়ের কথা বলা হয়েছে, তাতেই হয়ত সবাইকে পাশ করিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময়টাও হাতে রাখতে হবে। ফলে শিক্ষাবর্ষ পিছনোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।